শীতকালীন বিষণ্নতা কি? যেভাবে বিষণ্নতা কাটাবেন

প্রতীকী ছবি

শীতকালীন বিষণ্নতা কি? যেভাবে বিষণ্নতা কাটাবেন

অনলাইন ডেস্ক

বিষণ্নতার ঋতু শীত। মূলত, সূর্যের আলোয় কম যাওয়ার কারণে শীতকালে অনেকেই বিষণ্নতায় আক্রান্ত হন। এমনকি অনেকে সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিসঅর্ডারও বা ‘এসএডি বা স্যাড’ ভোগেন। এরকম হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

স্যাড হচ্ছে একধরনের বিষণ্নতা রোগ। এটি  বিষণ্নতার একটি ধরন। অনেকেই শীতে এ সমস্যায় ভোগেন।

এসএডি এর ব্যাপ্তি ও তীব্রতা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়।

তবে আশার বিষয়, বসন্ত আসতে আসতে এটি চলে যায়। কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো শীতকালীন বিষণ্ণতার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে আপনাকে। আসুন, জেনে নিই সেগুলো—

ভোরে ঘুম থকে উঠুন
শীতের এই সময়ে সূর্য উঠে খানিকটা আগেই। এসএডি-এর মোকাবিলার একটি উপায় হলো সূর্যের আলোয় আরো বেশি সময় কাটানো। আপনিও উঠে পড়ুন সূর্য ওঠার সাথে সাথে। এই সময় এটি করা বেশ কঠিন, কিন্তু মনে রাখবেন সূর্যের আলো শীতে আপনার শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনার মেজাজ বেশ ভালো থাকবে।  

সকালে হাঁটতে বের হন
ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বের হন। নিজেকে মেলে ধরুন সূর্যালোকে। এ সময় আপনার শরীর কিছু সজিব বাতাসের স্পর্শও পাবে। তাছাড়া ব্যায়াম তো পুরো শরীরের জন্যই ভালো। এটি শরীরকে চনমনে করে তুলবে। যদি আপনি ঘুম থেকে উঠতে ও হাঁটতে না পারেন তবে যখনই ওঠেন না কেন সোজা চলে যান জিমে।

জানালা খুলে পর্দা তুলে দিন
দিনের বেলা যাতে সূর্যালোক আপনার ঘরে প্রবেশ করতে পারে তা নিশ্চিত করুন। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পাশাপাশি ঘরের জানালা খুলে পর্দাগুলো ওপরে তুলে দেন। সম্ভব হলে জানালার পাশে বসে থাকুন কিছুক্ষণ। তবে জানালার কাচ ভেদ করে আসা সূর্যালোক যেন আপনার শরীরে না লাগে। সরাসরি আসা সূর্যের আলোতে বসুন। এতে শীতজনিত বিষণ্নতা অনেকখানি কেটে যাবে।

আরও পড়ুন : শীতে গায়ে সরিষা তেল মাখলে কী হয়?

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অনেক ক্রিম বা মিষ্টিজাতীয় খাবারের বদলে সবজি ও ফল বেশি করে খান। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সুস্থও থাকবেন।

শরীরচর্চা
শীত এলে শরীরচর্চার প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন অধিকাংশ ব্যক্তি। শীতে শরীরচর্চা বিষণ্ণতার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে আপনাকে। বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করতে অসুবিধা হলে কিছু যোগব্যায়াম বেছে নিন ঘরে করার জন্য।

আরও পড়ুন: মাথা ঘোরা সমস্যা ও সমাধান

বেড়াতে যান
এমন কোথাও বেড়াতে যান, যে জায়গাটি গরম ও রৌদ্রজ্জ্বল। এতে শীতকালীন বিষণ্ণতা কমতে সাহায্য হবে।

আর যদি শীতকালীন বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়েই যান, তবে বিলম্ব না করে একজন কাউন্সেলরের পরামর্শ নেয়া হতে পারে সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ। মনে রাখবেন শীতের পরেই আসে বসন্ত। শীতকালকে উপভোগ করার চেষ্টা করুন তার মতো করেই, তাহলে শীতের ধীরতা আর শীত-নিদ্রাও ভালো লেগে যেতে পারে।

news24bd.tv/আলী