বেশিরভাগ ব্র্যান্ডের পাউরুটিতে মিলেছে বিষাক্ত পটাশিয়াম

পাউরুটিতে মিলেছে বিষাক্ত পটাশিয়াম

বেশিরভাগ ব্র্যান্ডের পাউরুটিতে মিলেছে বিষাক্ত পটাশিয়াম

ফখরুল ইসলাম

বেকারীতে উৎপাদিত বেশিরভাগ ব্র্যান্ডের পাউরুটিতে মিলেছে নিষিদ্ধ বিষাক্ত পটাশিয়াম। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ১৯টি নামী-বেনামী ব্র্যান্ড পরীক্ষা করে ১৬টিতেই পায় পটাশিয়ামের উপস্থিতি। এদিকে রাজধানী ও তার আশপাশে অনুসন্ধানে দেখা যায় নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারী পণ্য। বড়ইয়ের ছোবড়া আর কেমিক্যালে তৈরি করা হচ্ছে মুখরোচক আচার।

আঁচার

পাউরুটি সকলের কাছে বেশ সুস্বাদু, সকালের নাস্তার অন্যতম অনুসঙ্গ। সম্প্রতি বাজার থেকে নামী-বেনামী ১৯ ব্র্যান্ডের পাউরুটির উপর পরীক্ষা চালায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। যেখানে ১৬টিতেই মিলেছে নিষিদ্ধ বিষাক্ত পটাশিয়ামের উপস্থিতি। এ নিয়ে সতর্ক করতে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে প্রতিষ্ঠানটি।

কিভাবে আসে এসব পটাশিয়াম? নিউজ টোয়েন্টিফোরের অনুসন্ধান হাজারিবাগের এই বেকারীতে। যেখানে ইস্টসহ বেশ কয়েকটি কেমিক্যালে তৈরি পাউরুটি, নোংরা আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। ১১ ডিসেম্বরে তৈরি পাউরুটি, বিস্কিটসহ বিভিন্ন পণ্যে মেয়াদ জালিয়াতি করে উৎপাদনের তারিখ বসানো হচ্ছে ১২ কিংবা ১৩ ডিসেম্বর।

কারখানাটিতে ভালো পরিবেশেরতো কোনো বালাই নেই। হাজারীবাগের আরেক কারখানা তো ময়লার ভাগাড়। রাতের আঁধারে তৈরি করা হচ্ছে পাউরুটি। আবার এর খামির তৈরি করা হয়েছে পোড়া-পুরনো বাসী তেলে।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসা শিক্ষকের নির্মম পিটুনিতে পালালো দুই ছাত্র


নারী ও শিশুদের শখের আঁচার তৈরির পরিবেশও কম ভয়ংকর নয়। কামরাঙ্গীরচরের এই পাঁচতলা বিশিষ্ট কারখানাটিতে চলছে এলাহিকাণ্ড। তেতুল ও বড়ই নেই। সবই আমদানীকরা ছোবড়া। তা দিয়েই কয়েক ধরণের ক্ষতিকর কেমিক্যালে বানাচ্ছে কথাকথিত মুখরোচক আঁচার। পরে এই কারখানাটিকে জরিমানাও করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

অভিযান চলে, ঘুরেফিরে চলে ভেজাল খাদ্য তৈরির কর্মযজ্ঞও। এক্ষেত্রে কঠোর মনিটরিং জোরদারের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।  

news24bd.tv রিমু