মদিনার বিখ্যাত খাজরাজ গোত্রের বনু সালামা শাখার সন্তান হজরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.)। তাই তাঁকে আস-সালামি বলা হয়। তিনি ছিলেন শহীদ পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা হজরত আব্দুল্লাহ (রা.) উহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। তাই রাসুল (সা.) হজরত জাবির (রা.)-কে খুব ভালোবাসতেন। তাঁর ও পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখতেন। এখানে এ-সংক্রান্ত কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো। (ক) শাহাদত বরণের সময় জাবির (রা.)-এর বাবা হজরত আবদুল্লাহ (রা.) অনেক ঋণ রেখে যান। অন্যদিকে খেজুরের দুটি বাগান ছাড়া অতিরিক্ত কোনো সম্পদ ছিল না তাদের। বাগানের ফলও ঋণ পরিশোধের জন্য যথেষ্ট ছিল না। পাওনাদাররা ভিড় জমাতে থাকেন হজরত জাবির (রা.)-এর কাছে। কোথা থেকে এই ঋণ শোধ করবেনএ চিন্তায় তিনি যান রাসুল (সা.)-এর কাছে। তিনি যেন পাওনাদারদের কিছু ঋণ মাফ করার জন্য অনুরোধ করেন। রাসুল (সা.) সুপারিশ করেন, কিন্তু পাওনাদাররা (যারা ইহুদি ছিল) রাজি...
শহীদ পরিবারের প্রতি নবীজি (সা.)-এর সদয় আচরণ
আবু তাশফিন

সম্রাট আকবরের হজযাত্রা
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

৭ অক্টোবর ১৫৭৬। রাজদরবারে পিনপতন নিরবতা, ভক্তি, ভালোবাসা ও আধ্যাত্মিকতার আবহে পরিপূর্ণ। হীরা, জহরত ও দামী অলঙ্কারে সজ্জিত রাজদরবার আজ যেন শিল্পীর আঁকা স্থির চিত্র মাত্র। দরবারের সভাসদ ও মন্ত্রীবর্গযারা ঝলমলে পোশাক পরিধান করে আছেন, যাদের কোমরে শোভা পাচ্ছে ঐশ্বর্যের তরবারি তাদের মুখমণ্ডলে গর্ব-গরিমার পরিবর্তে প্রস্ফূটিত হয়েছে পবিত্র আভা। রাজপ্রহরীরাও আজ অশ্রুসিক্ত আর হূদয় আবেগে উদ্বেলিত। কেননা আজ তারা এমন দৃশ্য দেখছে যা ভারতবর্ষের ইতিহাসে আগে কখনো দেখা যায়নি। সম্রাট আজ রাজকীয় পোশাক, অলঙ্কার ও মুকুট পরিধান করে নয়, বরং তিনি ইহরামের দুই টুকরো সাদা কাপড় পরে দরবারে প্রবেশ করেছেন। আজ তাঁর পায়ে স্বর্ণের সুতোয় সেলাই করা নকশাকার জুতাও নেই। তিনি খালি পায়ে, খালি মাথায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশ্যে কথা বলছেন। তাঁর মাথার চুলও এক পাশে মুণ্ডন করা। আজ...
প্রচণ্ড গরমে মুমিনের বিশেষ করণীয়
মুফতি মুহাম্মদ আবদুল আজিজ রজভী

গরমের প্রভাব শুধু মানুষের শারীরিক কষ্ট-যন্ত্রণার কারণ হয় না; অন্যান্য জীব-জন্তুরও কষ্টের কারণ হয়। এছাড়াও গরমের তীব্রতা কখনো কখনো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থানেও মন্দ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। খাদ্য-শস্যের ঘাটতি তৈরি করে। প্রচণ্ড গরমে মুমিনের করণীয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো- অধিকহারে ক্ষমা প্রার্থনা করা কোরআন-হাদিস থেকে জানা যায়, অতীত পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার কারণে আল্লাহপাক রহমতের বৃষ্টি নাজিল করেন; তীব্র গরমে শীতলতা দান করেন। আল্লাহ বলেন, আর বলছি, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও, নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। (আল-কোরআন: সুরা নুহ-৭১ : ১০-১১) অতএব, দেশে খরা বা অনাবৃষ্টি শুরু হলে রহমতের বৃষ্টির জন্য একনিষ্ঠতার সাথে ইস্তিগফারের কোনো বিকল্প নেই। পিপাসার্থদের পানি পান করানো তীব্র গরমে তৃষ্ণার্ত মানুষ বা কোনো...
যে কারণে উপুড় হয়ে ঘুমাতে নিষেধ করা হয়
মাইমুনা আক্তার

ঘুমানোর একটি আরামদায়ক ভঙ্গি হলো উপুড় হয়ে শোয়া। এই পদ্ধতিতে ঘুমানো সাময়িক আনন্দ দিলেও এটি অভ্যাসে পরিণত করা কিন্তু মোটেই ভালো নয়। কখনো কখনো এটি বিপদের কারণ হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এভাবে শোয়া সাময়িক আরামদায়ক মনে হলেও এ অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ড, শ্বাসপ্রশ্বাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে। মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বাঁক বদলে গিয়ে ঘাড়-পিঠে ব্যথা হতে পারে। অনেকের মতে এভাবে শুয়ে থাকলে পিঠের নিচের অংশেও অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। পিঠের নিম্নাংশে সমস্যা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য ও মলত্যাগজনিত নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। উপুড় হয়ে শোয়ার এমন অনেক অপকারিতা জাতীয় পত্রিকাগুলোর লাইফ স্টাইল পাতাগুলোতে পাওয়া যায়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, রাসুল (সা.) এভাবে শুতে নিষেধ করেছেন। এর কারণ হিসেবে হাদিস শরীফে দুটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক. মহান আল্লাহ এভাবে শোয়া...