৫ জানুয়ারির নির্বাচন: সারাদেশে প্রতিবাদী মানববন্ধন করবে বিএনপি

ফাইল ছবি

৫ জানুয়ারির নির্বাচন: সারাদেশে প্রতিবাদী মানববন্ধন করবে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এক অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন। আট বছর আগে ২০১৪ সালের এই দিনে সারাদেশে ভোটার ও বিরোধী দলের প্রার্থীবিহীন একতরফা বিতর্কিত, প্রতারণামূলক, হাস্যকর ও শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রহসনমূলক একদলীয় পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশে প্রত্যাখ্যাত, জনধিকৃত একদলীয় নির্বাচন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও সারা দুনিয়ায় নিজেদের হেয় প্রতিপন্ন করে।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির এই নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন রুহুল কবির রিজভী। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামীকাল (বুধবার) ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেলা ১১টায় এবং জেলা শহরগুলোতে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ ৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের কলঙ্কিত রেকর্ডকে ভেঙে ফেলে।

স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র সোয়া এক বছরের মাথায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জনগণের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি। তাদের সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি-কারচুপির আশ্রয় নিতে হয়েছিল।

৩০০ আসনের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেরা নিয়েছিল ২৯৩ আসন, মাত্র ৭টি আসন বিরোধী দলকে দেয়া হয়। দলের প্রার্থীকে জেতাতে হেলিকপ্টারে করে ব্যালট বাক্স ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গতকাল বলেছেন, বিএনপির সমাবেশে বাধা দিচ্ছে না সরকার। ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে প্রশ্ন, সিরাজগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে অস্ত্র হাতে যারা হামলা করেছে, তারা কারা? গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে এরা সবাই যুবলীগের কর্মী। এরা তো সবাই যুবলীগের। তারা এখনো ধরা পড়ছে না কেন? পটুয়াখালীতে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা করেছে। অনেককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, গুলি করে অনেককে আহত করেছে, এরা কারা? গাজীপুরের সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল কেন?’

রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের হরেক কিসিমের প্রতারকরা জনগণের সঙ্গে ক্রমাগত প্রতারণা করে চলছে। আমি কাদের সাহেবকে পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, কর্তৃত্ববাদী হিংস্র শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ কঠিন সংগ্রামে অঙ্গীকারবদ্ধ। ভোট ডাকাতির দিন শেষ। বাংলাদেশের জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে নেমে গেছে। বিশ্ব বিবেক জেগে উঠেছে। গণতন্ত্রের জয় অবশ্যম্ভাবী। ’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন


এবার মাদরাসাতে যে শপথবাক্য পাঠ করতে হবে শিক্ষার্থীদের

news24bd.tv এসএম