একদিন মুসা (আ.) বনি ইসরাঈলের হেদায়েতের ভাষণ দিচ্ছিলেন। হঠাত্ কেউ তাকে প্রশ্ন করল, পৃথিবীতে সর্বাপেক্ষা বড় আলেম কে? তিনি নবী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই নিজের কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। আল্লাহ তাআলা তাকে বলেন, তোমার চেয়েও জ্ঞানী একজন ব্যক্তি আছেন। মুসা (আ.)-এর মধ্যে তখন দেখা দিল অন্বেষী মনোভাব। তিনি আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তির সান্নিধ্যে গিয়ে ইলম অর্জনের আবেদন করেন। মহান আল্লাহ তাকে বলেন, থলের মধ্যে একটি মাছ নিয়ে দুই নদীর সংযোগ স্থলে যাও। এরপর যেখানে গিয়ে তা হারিয়ে ফেলবে সেখানেই তাকে পাবে...। ( বুখারি, হাদিস: ১২২) শিক্ষামূলক সফরের যাত্রা শুরু মুসা (আ.) ইউশা ইবনে নূনকে সঙ্গে নিয়ে সফর শুরু করেন। গন্ত্মব্যে দুই সমুদ্রের সঙ্গমস্থল। সেখানেই আছেন আল্লাহর প্রিয় বান্দা খিজির বা খাদির (আ.)। তাদের সঙ্গে খাদ্যের জন্য রাখা একটি মাছ চিহ্ন এঁকে তার...
জ্ঞানের সন্ধানে মুসা (আ.)-এর ঐতিহাসিক সফর
শরিফ আহমাদ

মক্কা-মদিনায় বাঙালি শাসকের মাদরাসা প্রতিষ্ঠা
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

পবিত্র মক্কা ও মদিনার সঙ্গে মুসলমানের সম্পর্ক আবেগ ও ভালোবাসার। পবিত্র এই ভূমিতে নিজের স্মৃতি-স্মারক রেখে যেতে চায় তারা। যুগে যুগে পৃথিবীর নানা প্রান্তের মুসলিমরা এখানে ধর্মীয় নানা স্থাপত্য ও স্থাপনা গড়ে তুলেছে। তেমনি একজন বাংলার স্বাধীন সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ। তিনি মক্কা ও মদিনায় পৃথক দুটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ ছিলেন একজন জ্ঞানানুরাগী ও কবি। তিনি ফারসি ও আরবি ভাষায় কবিতা লিখতেন। পারস্যের কবি হাফিজের সঙ্গে তিনি পত্রালাপ করেন। কবি হাফিজের কাছে তিনি স্বরচিত কবিতা লিখে পাঠান এবং হাফিজকে বাংলা অঞ্চলে আমন্ত্রণ জানান। উত্তরে হাফিজ তাঁকে একটি গজল লিখে পাঠান। সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের আমলে বাংলা ভাষার প্রভূত উন্নতি হয়। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় শাহ মুহম্মদ সগীর ইউসুফ জোলেখা কাব্য রচনা করেন এবং কৃত্তিবাস রামায়ণের...
‘হিকমত’ আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত
মাইমুনা আক্তার

হিকমত হলো, আল্লাহর দ্বীন সম্পর্কে গভীর বোধ ও সঠিক বুদ্ধিবৃত্তি। এটি হলো জ্ঞান, তাকওয়া ও আমলের নিখুঁত সমন্বয়। জীবনের প্রতিটি বিষয়েই হিকমতের প্রয়োজন, কারণ হিকমত মানে হলো, প্রত্যেকটি বিষয়কে যথোপযুক্ত স্থানে স্থাপন করা, প্রতিটি বিষয়কে তার যোগ্য মর্যাদায় মূল্যায়ন করা, যেখানে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন সেখানে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া, আর যেখানে থেমে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ সেখানে থেমে যাওয়া। মহান আল্লাহ তাঁর নবী-রাসুলদের এই নিয়ামত পরিপূর্ণ ভাবে দিয়েছেন। এমনকি পবিত্র কোরআনে এই শব্দটি কখনো কখনো নবুয়ত ও রিসালত অর্থেও এসেছে। যেমন পবিত্র কোরআনে ঈসা (আ.) সম্পর্কীত আলোচনায় ইরশাদ হয়েছে, আর তিনি তাকে কিতাব, হিকমত, তাওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দেবেন। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৪৭) আর দাউদ (আ.) সম্পর্কীত আলোচনায় এসেছে, আমি তার রাজত্বকে সুদৃঢ় করেছিলাম, আর তাকে দিয়েছিলাম হিকমত...
বহুবার বন্ধ ছিল হজ পালন, নেপথ্যের কারণ কী
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। হজ প্রবর্তনের আগে ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইল (আ.)কে সঙ্গে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করেন কাবাঘর। পুনর্নির্মাণ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের। আল্লাহ তাআলা জিবরাইল মারফত তাঁকে হজের সব আহকাম সম্পর্কে অবহিত করেন। ইবরাহিম (আ.) তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.)কে নিয়ে কাবাঘর সাতবার তাওয়াফ করেন, চুম্বন করেন হাজরে আসওয়াদ এবং একে একে সম্পন্ন করেন হজের সব আহকাম। এরপর আল্লাহর নির্দেশ এল হজের দাওয়াত বিশ্ববাসীকে পৌঁছে দেওয়ার। পবিত্র কোরআনে এসেছে, স্মরণ করো, যখন আমি ইবরাহিমকে (পবিত্র) ঘরের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম(তখন বলেছিলাম) আমার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না। আর আমার ঘর পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী, রুকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর