নারী প্রধান শিক্ষকের গলা চেপে হত্যা চেষ্টা সহকারি শিক্ষকের

অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক মাহবুবর রহমান

নারী প্রধান শিক্ষকের গলা চেপে হত্যা চেষ্টা সহকারি শিক্ষকের

হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম সদরে এক নারী প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা এবং রক্তাক্ত জখমের ঘটনা ঘটেছে ওই স্কুলের এক পুরুষ সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্কুল সংলগ্ন এলাকার অধিবাসী ও যুবলীগ নামধারী সহকারি শিক্ষক মাহবুবর রহমান প্রায়ই অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতো বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের নাগদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

ঘটনার দিন মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকালে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে স্কুল কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য নজরুল ইসলামের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে।

আলোচনার এক ফাঁকে প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাহবুবর রহমান হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগমের গলা চেপে ধরেন এবং উপযুপরি ঘুষি মারতে থাকেন। এতে প্রধান শিক্ষকের বাম চোখের পাশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে।

এসময় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম শিক্ষক মাহবুবর রহমানকে জাপটে ধরে সড়িয়ে আনার চেষ্টা করেন। পরে আহত প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগমকে দ্রুত কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগম জানান, সহকারি শিক্ষক মাহবুবর রহমান প্রায়ই তাকে অপদস্ত করার চেষ্টা করেন। আজ যেভাবে গলা টিপে ধরেছিল তাতে মনে হচ্ছিল আমি শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাবো। এক জন নারী শিক্ষকের সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এই শিক্ষক সেই শিক্ষাও পাননি। তিনি স্কুলে স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হতে চান। কাউকে তিনি সম্মান দিতেন না। এর আগেও বহুবার অসৈাজন্যমূলক আচরণ করেও পার পেয়ে গেছে সে। ফলে আজ জীবনাহানির মত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছিল। আমি আতঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন! আমি এর আইনগত বিচার চাই। এছাড়াও আমার এবং আমার সহকারি শিক্ষকদের জীবনের নিরাপত্তা চাই। এ ব্যাপারে তিনি থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান।

সদর উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মোছা. নার্গিস ফাতিমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহত প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগম কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে সহকারি শিক্ষক মাহবুবর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৈফিকুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন


ভোটের আগের রাতেই ইউপি সদস্য প্রার্থীর মৃত্যু

news24bd.tv এসএম