নড়াইলে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে প্রতিবেশী চাচার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা এবং চাচি সুফিয়া বেগমকে (৫৮) সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সানা মো. মাহ্রুফ হোসাইন এ আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত লিয়াকত মোল্যা যশোরের বাঘারপাড়া থানার বল্লামুখ গ্রামের মৃত ফাজেল মোল্যার ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, লিয়াকত মোল্যা পার্শ্ববর্তী বাড়ির ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়। ২০২১ সালের ৪ মার্চ লিয়াকত গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য কিশোরীকে ওষুধ খাওয়ান। এতে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বোড় বোন বিয়টি বুঝতে পারেন।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, ছয়-সাত মাসে আগে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে প্রতিবেশী চাচা লিয়াকত মোল্যা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনায় কিশোরীর বড় ভাই বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় ৬ মার্চ ২০২১ তারিখে লিয়াকত মোল্যা ও তাঁর স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
সাক্ষ্য শেষে আসামি লিয়াকত মোল্যার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এজন্য আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন সাজা এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
মামলার অপর আসামি লিয়াকত মোল্যার স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
তাঁকে সাত বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
নির্বাচনী সংঘর্ষের কবলে পড়ে নারী নিহত
news24bd.tv/ তৌহিদ