বেড়েছে সংক্রমণ, কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি

প্রতীকী ছবি

 বেড়েছে সংক্রমণ, কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি

দেশে আবারও করোনা সংক্রমণ বেড়েছে।  বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। করোনাভাইরাস এবং এর নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিলেও কেউ মানছে না। গণপরিবহনসহ বিভিন্ন স্থানে, বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক পরেনি।

বাসে ওঠার আগে যাত্রীদের হাতে জীবাণুনাশক দিতেও দেখা যায়নি। গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে যাত্রী ও বাস কর্তৃপক্ষ করেছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। এসব তদারকি করতেও দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কাউকে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার, গণপরিবহনসহ গুলিস্তান, কাকরাইল, পল্টন, রামপুরা, মিরপুর, আজিমপুর, উত্তরা, শাহবাগ, বাড্ডা ও কুড়িল এলাকায় ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

 

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাকরাইল ভিআইপি রোডে আকাশ পরিবহনের একটি বাসে যাত্রীদের ঠেলাঠেলি করে উঠতে দেখা গেছে।

এমনকি বাসের দরজায় ঝুলেও যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। বেশির ভাগ যাত্রী মাস্ক পরেনি। আবার অনেক যাত্রীর মাস্ক থাকলেও তা ঝুলছিল থুতনিতে। ওই বাসের হেল্পার নুরু মিয়ার কাছে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণ জানতে চাইলে তিনি উল্টো প্রশ্ন রাখেন, ‘যাত্রীরা না মানলে আমগোর কী করার আছে?’

রামপুরা এলাকায় ভিক্টর, রাইদা, আল মক্কা ও তুরাগ পরিবহনের বাসেও একই চিত্র দেখা গেছে।

মাস্ক না পরার বিষয়ে জানতে চাইলে ভিক্টর পরিবহনের পঞ্চাশোর্ধ্ব এক যাত্রী বলেন, ‘করোনাফরোনা নাই। আল্লাহ ভরসা। এগুলা বড়লোকের ফন্দি-ফিকির। ’

গুলিস্তান এলাকায় ভিক্টর ক্লাসিকের চালকের সহযোগী বেলাল মিয়া বলেন, ‘যাত্রীরা মাস্ক না পরলে আমাদের কিছু করার নাই। আগে বাসে সাবান-পানি থাকত। যাত্রীরা নেয় না বলে আমরাও রাখি না। সিটিং সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাসে যাত্রীর ভিড় বেড়েছে। ’

ওই বাসে উঠে দেখা যায়, বেশির ভাগ যাত্রী মাস্ক পরেনি। জয়নাল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘মাস্ক আছে, বাসে গরম লাগে, তাই খুলে রেখেছি। ’ পাশে বসা আরেক যাত্রী বলে ওঠেন, ‘করোনা যার হওয়ার হয়ে গেছে। এখন আর করোনা নাই। করোনার ভাঁওতাবাজি বন্ধ করতে হবে। ’

আরও পড়ুন:


বিশ্বে করোনায় একদিনে ২৩ লাখ ৬৪ হাজারেরও বেশি রেকর্ড শনাক্ত

যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ মৃত্যু ১২


রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসের চালকের মুখে মাস্ক না থাকায় জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘সারা দিন কত মাস্ক পইরা থাকন যায়! দরকার হলে পরি। ’ বাসে জীবাণুনাশক না রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো যাত্রী তো চায়ও না। চাইলে না হয় বুঝতাম যে রাখা দরকার। ’

এর আগে গতকাল সকালে মিরপুর এলাকার কাঁচাবাজার, শপিং মল, ভিড়ে ঠাসা ফুটপাতসহ অন্য দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক পরেনি। মিরপুর-১০ নম্বরের হোপ স্কুলের গলির ফুটপাতে বিপুলসংখ্যক হকার বসতে দেখা গেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ