বগুড়ার গাবতলি উপজেলার দুই ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন এক নারীসহ ৫ জন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে পৃথক পৃথক সংঘর্ষে প্রাণহানির এসব ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানসহ ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করতে জেলা পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।
উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নে সদস্য পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয় এক যুবকের।
গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কালাই হাটা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে কেন্দ্রেই ভোট গণনা হবে নাকি ব্যালটবাক্স নিয়ে যাওয়া হবে উপজেলা সদরে এই নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন প্রার্থীদের সমর্থক ও নির্বাচন কর্মকর্তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রতিহত করতে গেলে বাধে সংঘর্ষ।
এসময় ঐ কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ-বিজিবি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই গুলি করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। আর তাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন কালাইহাটার আব্দুর রশীদ, খোরশেদ হোসেন , কুলসুম আক্তার ও আলমগীর হোসেন।
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিউবওয়েল মার্কার সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার অভিযোগ এনে গাবতলীর রামেশ্বরপুর ইউনিয়নে ছুরিকাঘাত করা হয় জাকির হোসেন নামে এক যুবককে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তারো।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ জানান, বুধবার বগুড়ার ৫ উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সবগুলো ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও এটিই জেলার সবচেয়ে বড় সহিংসতা। তবে, এসব কারণে কোন কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ কিংবা গণনা বন্ধ হয়নি।
আরও পড়ুন
বান্দরবানের গহীন পাহাড় থেকে অস্ত্রসহ ৪ রোহিঙ্গা আটক
news24bd.tv এসএম