বাগেরহাটের সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে যৌখালী নদীতে অবৈধ ভাবে স্যালো-ইঞ্জিন দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। রনজিৎপুর গ্রামে টাটেরহাট ব্রীজ হতে পোলেরহাট ব্রীজ পর্যন্ত অবৈধ ভাবে প্রাকাশ্য দিবালোকে চলছে এসব অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কাজ। বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে সরকারের ৩টি আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়িঘরসহ সকরকারি ব্যরাক ও চাষাবাদের জমি।
এলকাবাসী জনায়, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় জৌখালী নদীতে টাটেরহাট ব্রীজ হতে পোলেরহাট ব্রীজ পর্যন্ত অবৈধ ভাবে বালু তুলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করছে।
আরও পড়ুন: বিগ বসে বাঙালি অভিনেত্রীর কাণ্ড ভাইরাল (ভিডিও)
ফলে হুমকির মুখে রনজিৎপুর আশ্রায়ন প্রকল্প, উত্তর খানপুর আশ্রায়ন প্রকল্প, চুড়মনি আশ্রায়ন আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়িঘরসহ সকরকারি ব্যরাক ও কয়েক এক হাজার হেক্টর ফসলি জমি। নদীর বালু খেকো এই চক্রটি প্রতি বর্গফুট বালু স্থান ভেদে ৮ থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি করছে।
এই চক্রটিতে একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি পক্ষে থাকার কারণে ভয়ে কথা বলছে না স্থানীয়রা। মাঝেমধ্যে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিলেও কিছু দিন পর আবারও বালু উত্তোলন শুরু হয়।
টাটেরহাট এলাকার একটি ড্রেজার চালক রফিকুল ইসলাম জানান, বালু উত্তোলনের ড্রেজারটির মালিক হচ্ছেন রনজিৎপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম। সে দিনে ৬০০ টাকা বেতনে কাজ করছেন। বেশকিছু দিন ধরে এই নদী হতে তারা বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন মানুষের বাড়ি, বাগানসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, যৌখালী নদীতে এখনো বালু উত্তোলন করার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
news24bd.tv/ কামরুল