প্রচারণায় নারায়ণগঞ্জে ‘তৈমুর ম্যাজিক’

প্রচারণায় নারায়ণগঞ্জে ‘তৈমুর ম্যাজিক’

অনলাইন ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার রীতিমতো চমক দেখিয়েছেন প্রচারণায়। শুক্রবার তৈমুরের হাতি মার্কার প্রচারণায় কয়েক হাজার সমর্থক নিয়ে যোগ দিয়েছেন উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা। শুক্রবার দিনভর বন্দরের ২৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণা চালান তৈমুর।  

পাশাপাশি প্রচারণায় যোগ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি ও বর্তমানে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম আকরাম।

এদিকে তৈমুরের প্রচারণায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যোগ দেওয়ার বিষয়টি ‘তৈমুর ম্যাজিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।  

এ সময় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচন কমিশন এখনো নিরপেক্ষ হচ্ছে না। তারা নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। বন্দরে তারা শুক্রবার বিশাল স্টেজ করে কেন্ত্রীয় নেতাদের নিয়ে জনসভা করছে।

এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জেও স্টেজ করে নির্বাচনী প্রচারণার সভা করেছে। এটা নির্বাচনি আচরনবিধির লঙ্ঘন। আমি নির্বাচনের মাঠে সমান সুযোগ পাচ্ছি না। আমি আজকে একটা অভিযোগ দিয়েছি আমার প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট এটিএম কামালের দ্বারা। সেটা হলো রাস্তায় তারা বড় বড় গেট করছে। আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। সকাল থেকে তারা মাইকিং শুরু করে, বড় বিলবোর্ড করছে তারা। এসব অভিযোগ দিয়েছি।

তৈমুর বলেন, আমি একটা বিষয় বিশ্বাস করি, পাথরে লিখা নাম মুখে যাবে, হৃদয়ে লিখা নাম সে নাম রয়ে যাবে। মানুষের হৃদয়ে এখন হাতি লিখা হয়ে গেছে।  

নিজ দল বিএনপি থেকে অব্যাহতি প্রসেঙ্গে তৈমুর বলেন, আমার দল আমাকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ভালো কাজ করেছে। সব দলের মতের মানুষের ভোট পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।  

তিনি বলেন, আমার শরীরটা কেটে টুকরো টুকরো করলে যে আওয়াজটা আসবে সে আওয়াজটার নাম বিএনপি। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক, পানি কাটলে দুই টুকরো হবে কিন্তু তৈমূর আলম খন্দকারের সাথে বিএনপির সম্পর্ক দুই টুকরো হবে না। এখানে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সব আছে। তারা যা করেছে বুঝে শুনে করেছে। বিএনপির ভোট নৌকা মার্কায় যাবে না বরং অন্য মার্কার ভোট আমার কাছে আসবে- এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: 

তাড়াশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পেল বসুন্ধরার কম্বল

তৈমুরের প্রচারণায় অংশ নেন বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, বন্দর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির দেলোয়ার হোসেন, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির এহসান উদ্দিন আহমেদ, মুছাপুর ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির মাকসুদ হোসেন, স্বতন্ত্র নির্বাচনে জয়ী ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন।

news24bd.tv/আলী