দুই আদিবাসী স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মূলহোতা গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

দুই আদিবাসী স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মূলহোতা গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার মূল আসামি সোলায়মান হোসেন ওরফে রিয়াদকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এসময় তিনি আরও জানান, সম্প্রতি ব্যাপক আলোচিত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের দুই স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলার মূল আসামী রিয়াদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১২ টায় রাজধানীর কারওয়ানাবাজর র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

 

এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ৫নং গাজিরভিটা ইউনিয়নের ডুমনিকুড়া গ্রামের দুই কিশোরী পাশের গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে স্থানীয় একদল বখাটে।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে খুঁজতে বের হয়। পরে তাদের দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ভুক্তভোগী কিশোরীদের পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেওয়ায় আদিবাসী পরিবারের লোকজন ভয়ে মুখ খুলতে পারছিলেন না।

ঘটনাটি জানাজানি হলে ২৯ ডিসেম্বর হালুয়াঘাট থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর ১০ জনকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন নির্যাতিতা এক কিশোরীর বাবা।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- সোলায়মান হোসেন রিয়াদ (২২), শহীদ মিয়ার ছেলে শরিফ (২০), এজাহার হোসেন (২০), রমজান আলী (২১), কাউছার (২১) আছাদুল (১৯) শরিফুল ইসলাম (২১), মিজান (২২), রুকন (২১) ও মামুন (২০)।

এদিকে, দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি বিকেলে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন আদিবাসীরা।

আরও পড়ুন


সাতসকালে রাজধানীর গুলিস্তানে বাসচাপায় প্রাণ গেল দুইজনের

news24bd.tv এসএম