নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: দফায় দফায় সংঘর্ষ, আতঙ্কে এলাকাবাসী

হামলায় বাড়িঘর ভাঙচুর

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: দফায় দফায় সংঘর্ষ, আতঙ্কে এলাকাবাসী

শফিকুল ইসলাম শামিম, রাজবাড়ী

সারাদেশের মতো পঞ্চম ধাপে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন শেষ হলেও দফায় দফায় চলছে সংঘর্ষ, হামলা-আক্রমণ। সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল ও বিকালে উপজেলার কশবামাজাইল, সরিষা ও মাছপাড়া ইউনিয়নে একাধিকবার হামলা-আক্রমণ হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ঘরবাড়ী।

বাধা দেওয়া হচ্ছে কৃষি কাজেও। এমন ঘটনায় শুক্রবার বিকালে পাংশা মডেল থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক এলাকাবাসী সাথে কথা বলে জানা যায়, কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের পরাজিত প্রার্থী রাকিবুল ইসলামের একটি গ্র্রপের জাকিরুল ইসলাম, আজাদ, সুলতান মন্ডল, জজ মন্ডল, সুমন বিশ্বাস, মতিয়ার বিশ্বাস, আনছার বিশ্বাসসহ ২০-২৫ জন সদস্য কসবামাজাইল বাজারে গিয়ে মুকুলের চায়ের দোকানের সামনে দেশী অস্ত্র রামদা, হাতুড়ি, লাঠি নিয়ে শুক্রবার বিকেলে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহরিয়ার সুফল মাহমুদের গ্রুপের উপর হামলা করেন। ভাঙচুর করেন ঘরবাড়ী-দোকান।

ছিনিয়ে নেয় আসবাবপত্র।

এসময় কসবামাজাইল এলাকার মতিবুল ইসলাম, ওহিদুল সরদার, মুকুল মন্ডল, মনোয়ার, জিকু খান, মোসলেম মন্ডল, খায়রুজ্জামান, ও আউয়াল নামের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ককপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অপর দিকে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের পরাজিত চোয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ হোসেন জানান, নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থীর কর্মীরা বেছে বেছে তাদের কর্মীদের ৮টি বাড়ী ভাঙচুর করেছে। বাধা দেয় কৃষি কাজেও। এতে অনেকে পেঁয়াজ রোপন করতে পারছেন না।

পাংশার মাছপাড়া ইউনিয়নের শুক্রবার সকালে বিজয়ী মোন্তাজ মেম্বার ও পরাজিত কাইয়ুমের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। সে সময় উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, এ সকল একাধিক ঘটনায় উভয় পক্ষের পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন


কনডেম সেলে নূর হোসেনের মোবাইল ব্যবহার, তদন্ত কমিটি গঠন

news24bd.tv এসএম