বিশ্বে প্রথমবার মানুষের দেহে শুকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন

ছবি: বিবিসি

বিশ্বে প্রথমবার মানুষের দেহে শুকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন

নিবিড় আমীন

বিশ্বে এই প্রথমবারের মতো মানুষের দেহে প্রতিস্থাপিত হলো শুকরের হৃৎপিণ্ড। তিনদিন আগে ৭ ঘণ্টাব্যাপি অপারেশনের মাধ্যমে মার্কিন এক ব্যক্তির দেহে লাগানো হয়েছে অঙ্গটি। অপারেশনের পর ওই রোগী এখনো সুস্থ্য আছেন বলেই জানা গেছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই ঘটনাকে।

বেশ কয়েকদিন ধরেই হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল ৫৭ বছর বয়সী ডেভিড বেনেটের। সমাধানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসকরা। একাধিক পরীক্ষা করেও কোনো লাভ না হওয়ায় বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন ওই রোগী। শেষ পর্যন্ত অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়ার মতোই তার শরীরে শুকরের হৃৎপিণ্ড লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

ডেভিডের পরিবারে সদস্যদের বিষয়টি জানানো হলে তাদেরও অমত ছিল না। কারণ প্রত্যেকেই তার বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। তাই এটাকেই শেষ চেষ্টা হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন সবাই। আর তারপরই জেনেটিকালি মোডিফাইড একটি শুকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হলো বেনেটের দেহে। অস্ত্রোপচারের তিন দিন পর এখন বেশ সুস্থই রয়েছেন ডেভিড। তাকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে।

এই সফল অপারেশনের পেছনের মূল নায়ক সার্জন বার্টলি গ্রিফিট জানান, বিশ্বকে অঙ্গের ঘাটতি সঙ্কট সমাধানের এক ধাপ কাছাকাছি নিয়ে আসবে এই সার্জারি।

আরও পড়ুন:


কাজাখস্তান সরকারকে সহায়তার অঙ্গীকার চীনের


তিনি বলেন, কখনোই আমরা একজন মানুষের দেহে এটি করিনি এবং ভাবতে চাই যে তাকে তার আগের কষ্টকর থেরাপি চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে আরও ভাল কিছু দিয়েছি আমরা। কিন্তু তিনি কত দিন, সপ্তাহ, মাস বা বছরের জন্য বেঁচে থাকবেন তা নিশ্চিত নই আমরা।

কীভাবে প্রাণীদের অঙ্গ মানব শরীরে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে বহুদিন ধরেই পরীক্ষা চলছিল। আর এই অস্ত্রোপচার যদি সফল হয় তাহলে চিকিৎসাক্ষেত্রকে এক নতুন দিশা দেখাবে বলে আশাবাদী গবেষকরা। সূত্র: বিবিসি

news24bd.tv রিমু