সাভারে স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

সাভারে স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

নাজমুল হুদা, সাভার

স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে স্কুলের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেছেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। এসময় একজন অভিভাবক অসুস্থ হয়ে পড়েন।  

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সাভার থানা রোডে মানববন্ধন করেন সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন করেন।

এ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে অভিভাবকরা বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের ওই স্কুলে প্রাথমিক পর্যায়ে লেখাপড়া করিয়েছি।

তারা ৫ম শ্রেণী শেষ করে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হবে এটাই স্বাভাবিক। আগেও এভাবেই চলে আসছে। কিন্তু এবার প্রায় ৬২ জন শিক্ষার্থী সেখানে ভর্তি হতে পারছে না। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।
তারা আজ ভর্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও ভর্তি করছে না। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সেলিম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, রোকেয়া ম্যাডাম আমাদেরকে বলেছিলেন, লটারি হলেও আমরা এখানেই ভর্তি হতে পারবো। এখন ভর্তি হতে পারছি না। অন্য স্কুলে ভর্তি হতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগবে। এত টাকা আমার পরিবার বহন করতে পারবে না। ভর্তি না করালে আশ্বাস দেওয়া হলো কেন? এখানে ভর্তি না করানো হলে আমি আর ভর্তিই হবো না।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া যমজ দুই সন্তানের মা এ্যানি বলেন, আমার দুই সন্তান তাসমিয়া ও ফাহমিদা ওই স্কুলের প্রাইমারি শাখায় প্রায় ৬ বছর অতিবাহিত করেছে। কিন্তু আজ ওই স্কুল থেকে আমাদের সন্তানদের বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের বের করে দিয়ে স্কুলের গেট বন্ধ করে দিয়েছে।

অন্য এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোমেনা খাতুন বলেন, আমাদের সন্তানকে এই স্কুলেই ভর্তি করানোর আশ্বাস দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই স্কুলে ভর্তির আশ্বাস দেওয়ায় আমি অন্য কোন স্কুলে ভর্তির ফরমও তুলি নাই। এখন তো কোন স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। আমি মানুষিক ভাবে ভেঙে পড়েছি। আজ দিন ধরে  বিভিন্ন স্থানে গিয়ে শারীরিক ভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়লাম।

এ বিষয়ে সাভার অধর চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার প্রধান শিক্ষক মিসেস রোকেয়া হক এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে চন্দন নামের এক ব্যক্তি ছেলে পরিচয় দিয়ে বলেন, মা অসুস্থ! তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না। হসপিটালে ভর্তি আছেন।

এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন পিটার গোমেজ জানান, এটা আসলে সরকারি প্রক্রিয়া। লটারিতে যারা চান্স পেয়েছে তারা ভর্তি হয়েছে। যারা চান্স পায় নি তারা বিভিন্নভাবে ভর্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন।

আরও পড়ুন


পাইকগাছায় বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের রিটেইলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত

news24bd.tv এসএম