দেশের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী মাহমুদুল হক করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিরবিদায় নিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
মঙ্গলবার রাতে মাহমুদুল হকের ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হওয়ার পরে তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে এক ছেলে ও দেশ-বিদেশে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের রামপালে মাহমুদুল হককে দাফন করা হবে। মাহমুদুল হক ১৯৪৫ সালে বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন:
বসুন্ধরার কম্বল পেল শেরপুরের দরিদ্র মানুষ
বাণিজ্যমেলা চলবে কিনা জানা গেল
১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন মা্হমুদুল হক। ২০১০ সালে তিনি প্রিন্টমেকিং বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন। মাহমুদুল হক চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ পর্যন্ত তার ৩৯টি একক প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছে এবং বহু দলবদ্ধ প্রদর্শনীতে তিনি অংশ নিয়েছিলেন।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মাহমুদুল হক ১৯৮২ সালে জাপানের সুচিউরা সিটি শ্রেষ্ঠ চিত্রকলার পুরস্কার (১৯৮২), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, কুয়েত আন্তর্জাতিক বিয়েনালে পুরস্কার, সুলতান পদকসহ বহু পুরস্কার পান। দেশে জাতীয় চিত্রশালা, জাতীয় জাদুঘরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগ্রাহক এবং বিদেশের অনেক চিত্রশালায় তাঁর শিল্পকর্ম সংগৃহীত হয়েছে।
news24bd.tv/আলী
