চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি জামিনে বেরিয়ে সাক্ষীকে খুন!

সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি জামিনে বেরিয়ে সাক্ষীকে খুন!

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামের ইপিজেডে নিহত লায়লা বেগম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ইরানকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ভোর রাতে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানার ইছাখালী থেকে ইরানকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।  

ইরান ২নং মাইলের মাথা এলাকার মৃত আবুল বশরের ছেলে। নিহত লায়লা বেগম একই এলাকার কবির আহমেদের স্ত্রী।

গ্রেপ্তারের পর র‍্যাব জানায়, ২০০৯ সালের একটি হত্যা মামলায় আসামি মো. আরমান (৩৫), ইরান (৩৩) এবং ইমতিয়াজ (৩২) জামিনে বের হয়ে আসে। জামিনে বের হয়ে আসার পর সকল আসামিরা এরশাদ হত্যা মামলার সাক্ষ্য প্রদান না করার জন্য সাক্ষীদের হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু ওই মামলার ঘটনার বিষয়ে কবির আহম্মেদ (৬৫) ও তার ছেলে ওমর ফারুক (৩১) বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে।

আরও পড়ুন: ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

এরই ধারাবাহিকতায় আসামিরা গত ১ জানুয়ারি সকাল ৮টায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওমর ফারুকের ওপর হামলা চালায়।

আসামিরা ওমর ফারুকের ওপর হামলা চালাচ্ছে দেখে ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে আসেন মা লায়লা বেগম।

তিনি এসে বাধা দিলে সন্ত্রাসীদের শাবলের আঘাত পড়ে লায়লা বেগমের মাথায়। শাবলের আঘাতে সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন লায়লা বেগম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় লায়লা বেগমকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হলে ৫দিন চিকিৎসা শেষে গত ৬ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, ২০০৯ সালের ১১ এপ্রিল পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ইপিজেড থানার ২ নং মাইলের মাথা এলাকার মৃত আবুল বশরের ছেলে মো. আরমান (৩৫), ইরান (৩৩) ও ইমতিয়াজ (৩২) এরশাদ নামে এক ব্যক্তিকে কাজ থেকে ফেরার পথে ধারালো ছুরি দিয়ে মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন গুরুতর আহত এরশাদকে উদ্ধার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন এরশাদ মারা যায়। এ ঘটনায় ১২ এপ্রিল বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।

এ মামলায় আসামি ইরানসহ অন্যান্যরা বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটে পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে আসে। অন্য আসামি আরমানও প্রায় ১ বছর জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আসে। জামিনে বের হয়ে আসার পর আসামিরা এরশাদ হত্যা মামলার সাক্ষ্য প্রদান না করার জন্য সাক্ষীদের হুমকি দিয়ে আসছিল।

গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় ২টি হত্যাসহ মোট ৪টি মামলা রয়েছে।

news24bd.tv/ কামরুল