দিলদারকে মনে রাখেনি কেউ!

সংগৃহীত ছবি

দিলদারকে মনে রাখেনি কেউ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকাই চলচ্চিত্রের  কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা দিলদারের ৭৭তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দিলদারের মৃত্যুর পর ঢাকাই ছবিতে এখন পর্যন্ত সেই মানের কৌতুক অভিনেতার আবির্ভাব ঘটেনি।

তার অভিনয়ে বুদ হয়ে থাকতেন এ দেশের সিনেমাপ্রেমীরা।

মৃত্যুর পর এই অভিনেতা আজও যেন জীবন্ত হয়ে আছেন সবার হৃদয়ে। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই এই কমেডি সুপারস্টার মৃত্যুবরণ করেন। এখনো তার সিনেমাগুলো ছোট পর্দা কিংবা সিনেমা হলে যখনই দেখা যায় না কেন তাকে নিয়ে আফসোস করেন দর্শকরা। দিলদার চলে গেলেও তার মতো এখনো কেউ আসেনি।
তার শূন্যতা এখনো ভোগায় নির্মাতাদের।

কিন্তু তার জন্মদিনকে ঘিরে কোথাও তেমন কোনো আয়োজন দেখা যায়নি। মৃত্যুর দুই দশক পার না হতেই সিনেমাপাড়ার মানুষরা যেন তাকে ভুলতে বসেছেন!

দিলদার এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনা বাদ দিয়ে দেন। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামের সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। সেই শুরু, এরপর দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দিলদার বারবার ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেই।

দিলদারের জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নায়ক করে নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আবদুল্লাহ’ নামের একটি সিনেমা। এটি দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এতে দিলদারের নায়িকা ছিলেন নূতন।

চলচ্চিত্রে সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়ে গেছেন- ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’সহ আরও অনেক জনপ্রিয় সিনেমা।

বরেণ্য কৌতুক অভিনেতা দিলদার ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। দিলদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান। বড় মেয়ের নাম মাসুমা আক্তার। ছোট মেয়ে জিনিয়া আফরোজ। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই ৫৮ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন এই কৌতুক অভিনেতা। তবে এখনও ভক্তদের হৃদয়ে লালিত হচ্ছেন দিলদার।

news24bd.tv/আলী