চলছিল খাবারের আয়োজন। বড় বড় পাত্রে চলছিলো বরযাত্রীদের জন্য রান্না। সবাই অপেক্ষায় ছিল বরের। এসময় বর আসার আগেই বিয়ের আসরে উপস্থিত হন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তমাল হোসেন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন তিনি। এ সময় কনের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানায়, বিলশা গ্রামের বিলশা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ূয়া মেয়ের বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল।
মেয়ের বাড়ির লোকজন ইউএনওকে নানা ভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। তবে নানা আয়োজনের প্রস্তুতির ব্যাপারে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করলে মেয়ের পরিবার স্বীকার করেন তার মেয়েকে দেখতে আসবে। এরপর ইউএনও তমাল হোসেন সেই বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং ১৮ বছরের পুর্বে বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা নেয় তার পরিবারের কাছ থেকে।
ইউএনও তমাল হোসেন জানান, গোপনীয় ভাবে খবর পাই বিলশা এলাকায় দশম শ্রেনীতে পড়ূয়া ১৬ বছরের এক শিক্ষার্থীর বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তৎখনাত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। বাল্যবিয়ে বন্ধে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর।
news24bd.tv/আলী