রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে শিবির দাবি করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রথম ব্লকের ৪র্থ তলায় মারধর করে।
মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম রাশেদুল ইসলাম। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
আর মারধর করা দুই অভিযুক্ত নাহিদ হাসান জয় কলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বুলবুল মাহমুদ একই বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু গ্রুপের অনুসারী বলে জানা গেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মারধরের শিকার রাশেদ জিয়াউর রহমান হলের ৪১৪ নম্বর রুমে অবস্থান করছিলেন। এসময় অভিযুক্তরা তার রুমে আসেন।
অভিযুক্তরা এসময় হবিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকা মমিনুল ইসলামকে ‘হলে শিবির ধরা পড়েছে, আপনারা আসেন’ বলে ফোনে ডেকে নেন।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত বুলবুল মাহমুদ বলেন, এটা আমাদের বিভাগের বিষয় নিয়ে একটা ঝামেলা। এটা নিউজ করার মতো কিছুই না। আমি মারিনি, এখানে মারামারির কিছুই হয়নি। নাহিদ আর রাশেদের মধ্যে ঝামেলা। আমি রাশেদকে ধরে ছিলাম আর নাহিদকে আমার আরেক বন্ধু ধরে ছিল। এটা আমাদের বিভাগের বড়ভাইদের মাধ্যমে মিটমাট হয়ে গেছে।
অন্য অভিযুক্ত নাহিদ হাসান জয় বলেন, এটা আমাদের বন্ধুদের মধ্যে একটু খুনসুটি হয়েছে আরকি। মারধরের ঘটনা ঘটেনি। রান্নাবান্নার আয়োজন নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
এ বিষয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, আমি বিষয়টি মাত্রই জানতে পেরেছি। শুনেছি এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল। আগামীকাল (শনিবার) সকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিষয়টা আমি জেনেছি। আগামীকাল খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
নাসিক নির্বাচন: নিরাপত্তা দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ হাজার সদস্য
news24bd.tv এসএম