সৌদি নেতৃত্বাধীন ইয়েমেন আগ্রাসন থেকে মালয়েশিয়া সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন কারার বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুহাম্মাদ সাবু।
বুধবার ‘দি মালয়েশিয়ান ইনসাইট’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে হামলা উচিৎ নয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কেন আমরা ইয়েমেনের মতো একটি মুসলিম দেশের ওপর হামলায় জড়িত থাকব? এ ধরনের সহিংসতায় কে জড়িত থাকতে চায়?
ইয়েমেনে হামলার কারণে মালয়েশিয়া সমালোচিত উল্লেখ করে দেশটির নতুন এ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইয়েমেন সংঘাতে জড়িত হওয়ার কারণে মালয়েশিয়া পরোক্ষভাবে মধ্যপ্রাচ্যে কালিমালিপ্ত হয়েছে এবং ওই অঞ্চলে কুয়ালালামপুরের নিরপেক্ষ নীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মালয়েশিয়া এ পর্যন্ত কখনো রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে বিশ্বের কোনো পরাশক্তির পক্ষ নেয়নি।
এর আগে, মালয়েশিয়ার মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইয়েমেন যুদ্ধে কুয়ালালামপুরের সংশ্লিষ্টতার অবসানের আহ্বান জানায়। তারা সৌদি আরবে মালয়েশিয়ার সেনা উপস্থিতির ব্যাখ্যা চেয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাবুর কাছে।
সৌদি আরব আগেই ঘোষণা করেছিল, কথিত সন্ত্রাবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে ৩৪ জাতির সামরিক জোটে কাজ করছে মালয়েশিয়া। এছাড়া, গত এপ্রিল মাসে সৌদি আরবের দাম্মামে অনুষ্ঠিত ‘গাল্ফ শিল্ড’ নামে সামরিক মহড়ায় যোগ দেয় মালয়েশিয়া।
তিনি সবসময় বলতেন, পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য সেনা কর্মকর্তারা সেখানে অবস্থান করছেন। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, তিন বছর ধরে পরিস্থিতি মূল্যায়নের দাবি যৌক্তিক নয় বরং সেনাদেরকে দেশে ফেরত আনতে হবে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
