নারীকে ধর্ষণ ও হত্যা পর লাশ ফেলা হয় নদীতে: পুলিশ

প্রতীকী ছবি

নারীকে ধর্ষণ ও হত্যা পর লাশ ফেলা হয় নদীতে: পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক

বরিশালের বাবুগঞ্জে এক বিধবা নারীকে (৪০) ধর্ষণের পর হত্যা করে তাঁর লাশ পাশের সন্ধ্যা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে নারীর ছেলে বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে সুমন ফকির (৩৫) ও শয়ন চন্দ্র শীল (১৯) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজ রোববার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

পুলিশ জানায়, ১২ জানুয়ারি রাতে ওই নারী নিজের ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলেন। সুমন ও শয়ন রাতে ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। ওই নারী বিচার দেওয়ার কথা বললে তাঁরা তাঁকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে এনে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে তাঁর লাশ সন্ধ্যা নদীতে ফেলে যান তাঁরা।

এ ঘটনায় ওই নারীর ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই নারীর মাথায় গুরুতর জখম থাকায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছিল, এটি হত্যাকাণ্ড। ওই নারীকে হত্যার আগে তিনি ধর্ষণের শিকার হতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছিল। বিষয়টি তদন্ত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

তাঁরা দুজনই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার সুমন ও শয়ন এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন ওসি।

আরও পড়ুন:

‘কম্বলটা যে দিছে আল্লাহ যেনো তার ভালা করে’

‌‘তোমার পত্রিকার মালিক বায় হাজার বছর বাঁচুক’

news24bd.tv তৌহিদ