ইসলামের দৃষ্টিতে বন্ধুত্ব

ইসলামের দৃষ্টিতে বন্ধুত্ব

অনলাইন ডেস্ক

মানবজীবনে আদর্শ বন্ধু নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আরবিতে বন্ধুকে বলা হয়- ‘খলিল’। বন্ধুত্বের সর্ম্পক প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বিভিন্নভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর ঈমানদার পুরুষ এবং ঈমানদার একে অপরের বন্ধু।

তারা ভালো কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। নামাজ প্রতিষ্ঠিত করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন-যাপন করে। তাদের ওপর আল্লাহ অনুগ্রহ করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী সুকৌশলী।
’ -সুরা আত তওবা : ৭১।

বন্ধু নির্বাচনে কেমন ব্যক্তি অগ্রাধিকার পাবে-এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতে গিয়ে পবিত্র কোরআনে আরো সুস্পষ্ট ঘোষণা এসেছে। ইরশাদ হচ্ছে-'হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও। ' (সুরা তাওবা : ১১৯)।

অন্যদিকে বন্ধু নির্বাচনে জোরালো নির্দেশনা প্রদান করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-'মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে সঙ্গী নির্বাচন করবে না। ' (তিরমিজি)।


আরও পড়ুন:

জয় পেলেন নৌকার আইভী

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যা বললেন তৈমূর

নিজ বাড়ির উঠান থেকে প্রবাসীর স্ত্রী-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার


প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বন্ধুত্বের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘সৎ সঙ্গী এবং অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে আতর বিক্রয়কারী এবং কামারের হাপরের ন্যায়। আতর ওয়ালা তোমাকে নিরাশ করবে না; হয় তুমি তার কাছ থেকে ক্রয় করবে কিংবা তার কাছে সুঘ্রাণ পাবে। আর কামারের হাপর, হয় তোমার বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে, নচেৎ তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে আর না হলে দুর্গন্ধ পাবে। ’ (বুখারি)

news24bd.tv/ নাজিম