আইভীর হ্যাটট্রিক

সংগৃহীত ছবি

আইভীর হ্যাটট্রিক

অনলাইন ডেস্ক

মেয়র পদে আরও পাঁচ বছরের জন্য সেলিনা হায়াৎ আইভীকেই বেছে নিল নারায়ণগঞ্জবাসী। এরই ধারাবাহিকিতায় জয়ের হ্যাটট্রিক হলো তার।

গত রাতে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী মোট ১৯২ কেন্দ্রে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট।

তৃতীয় সর্বোচ্চ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৮৭ ভোট।

এ ছাড়া খেলাফত মজলিশের দেয়ালঘড়ি প্রতীকে এ বি এম সিরাজুল মামুন ১০ হাজার ৭২৪, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি প্রতীকে মো. রাশেদ ফেরদৌস ১ হাজার ৯২৭, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকে মো. জসিম উদ্দীন ১ হাজার ৩০৯ এবং স্বতন্ত্র মো. কামরুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৫ ভোট।

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোশেনে ইভিএমে ৫৬.২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

মেয়র এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মিলিয়ে এ নির্বাচনে মোট ১৮৯ জন প্রার্থী হলেও স্বাভাবিকভাবেই প্রচারের আলোয় ছিলেন চিকিৎসক আইভী ও আইনজীবী তৈমূর।

জয়ী ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইভী টানা তিনবারের জয়ে নারায়ণগঞ্জবাসী, নেতা-কর্মী ও ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি শুধু আগামী পাঁচ বছর নয়, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য উৎসর্গ করে দেব। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জনকল্যাণে কাজ করব। ’

নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকারের মেয়ের মতো উল্লেখ করে আইভী বলেন, ‘এ জয়কে তৈমূর আলম খন্দকারের মেয়ের জয়। আমি সিটি করপোরেশনের ভবিষ্যতের কর্মকান্ডে তৈমূর আলমকে নিয়েই কাজ করব। তার যেসব পরিকল্পনা আছে সেগুলোও বাস্তবায়ন করব। ’ তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। সেসব চ্যালেঞ্জ জয় করেই নির্বাচনে জিততে হয়। জনসমর্থন না থাকলে আমি নারায়ণগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম না’।

আইভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেই আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। সেই বিশ্বাসের প্রতিদান হিসেবে আমি নারায়ণগঞ্জকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে আরেক দফায় প্রমাণ করতে পেরেছি। ’

আরও পড়ুন:


 

নোয়াখালীতে বিজয়ী কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৭


এদিকে  ফল ঘোষণার পর স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘ইভিএম কারচুপি ও প্রশাসনের লাগাতার গ্রেফতারের কারণে আমার এই পরাজয়। তবে এ পরাজয় আমার নয়, এ পরাজয় সরকারের। ’ 

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠনের পর প্রথমবার ২০১১ সালে সিটি করপোরেশনের নির্দলীয় নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভী ১ লাখ ১ হাজার ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন নিজ দলেরই আরেক প্রার্থী শামীম ওসমানকে। ওই নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সড়ে যাওয়া বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার পান সাড়ে ৭ হাজার ভোট। পরের বার ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী ৭৯ হাজার ৫৬৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে। এবারও বিএনপির পরোক্ষ প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে পরাজিত করলেন ৬৯ হাজার ১০২ ভোটে।

news24bd.tv রিমু