বরিশালে চালক মো. রোমান জমাদ্দারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের দায়ে আসলাম ওরফে নিজাম তালুকদার নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে ওই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আসলামের স্ত্রী খাদিজা বেগমকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক টিএম মুসা আসামীদের উপস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এই রায় ঘোষনা করেন।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসলাম ওরফে নিজাম তালুকদার বরিশাল নগরীর চাঁদমারী মাদ্রাসা গলিতে বসবাস করতো।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি জাহিদুল ইসলাম বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৯ জুন রাতে আসলাম তার বন্ধু অটোরিক্সা চালক রোমানের অটোরিক্সায় স্ত্রী খাদিজা ও শ্বাশুড়ি শাহিদা বেগমকে নিয়ে বাকেরগঞ্জের দুধল ইউনিয়নের পিকেপি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় শ্বশুড় বাড়ি যায়। ওই রাতে বৃষ্টি হওয়ায় আসলাম বাড়ির পাশে অটোরিক্সা রেখে চালক রোমানকে নিয়ে স্কুল সংলগ্ন রাঙ্গামাটি নদীতে হাত-পা ধুতে যায়। সেখানে সুযোগ বুঝে রোমানকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। পরে রোমান ও তার স্ত্রী খাদিজা আসলামের মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার পেট কেটে নদীর পানিতে লাশ ফেলে দেয়। এ ঘটনা কাউকে জানালে শ্বাশুড়ি শাহিদা বেগমকেও হত্যার হুমকী দেয় আসলাম।
এ ঘটনায় একই বছরের ১০ জুলাই অটোরিক্সার মালিক মো. রিফাত বাদী হয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আসলাম ও তার স্ত্রী খাদিজাকে গ্রেফতার করে। তারা হত্যার বর্ননা দিয়ে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ রোমানের হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি এবং অটোরিক্সা উদ্ধার করে। তবে রোমানের লাশের সন্ধ্যান পায়নি পুলিশ।
২০২১ সালের ৩১ মে তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহজালাল মল্লিক প্রধান অভিযুক্ত আসলাম ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেন।
পরে ট্রাইব্যুনালে শাশুড়ি শাহিদা বেগম সহ ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বিচারক প্রধান অভিযুক্ত আসলামকে ফাঁসি এবং তার স্ত্রী খাদিজাকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন।
news24bd.tv/আলী