কম্বল পেয়ে কথা বলতে না পারা শিশুরাও আনন্দে নাচতে শুরু করে

ফাইল ছবি

কম্বল পেয়ে কথা বলতে না পারা শিশুরাও আনন্দে নাচতে শুরু করে

অনলাইন ডেস্ক

১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকাশ, বাবু, রাতুল, জান্নাতি, সিনথিয়া এরা সবাই। এই শীতে কষ্টে ছিল স্কুলটির প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে এ খবর জানতে পেরে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যরা মঙ্গলবার দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে বিতরণ করে শিক্ষার্থীধের মাঝে।

শুভসংঘের কম্বল পেয়ে কথা বলতে না পারা, দাঁড়াতে পারা শিশুরাও আনন্দে নাচতে শুরু করে।

স্কুলের ১০০ শিক্ষার্থীর হাতে কম্বল দেওয়া হয়েছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দুস্থ দুই হাজার শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ কার্যক্রমের চতুর্থ দিন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলে ১০০ জন অসহায় শীতার্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। এনিয়ে গত চার দিনে কুষ্টিয়ায় ১৭০০ কম্বল বিতরণ করা হয়।

সোমবার দুপুরে কম্বল বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, টিআইবি পরিচালিত সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ও শুভসংঘ কুষ্টিয়ার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আসমা আখতার বানু, কালের কণ্ঠের কুষ্টিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক তারিকুল হক তারিক, শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক কাকলী খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা অন্তু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ প্রমুখ।

শুভসংঘের সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, এই শীতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো। আমরা জানতে পারলাম এই বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও শীতে কষ্ট করছে। এটা জানার পরে আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেবের দেওয়া উপহার এই কম্বল বাচ্চাদের দিতে পারায় আমরাও গর্বিত। কদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের উপহার শীতার্তদের জন্য কম্বল সবার উপকারে আসবে।

news24bd.tv/এমি-জান্নাত