গত এক বছরে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ৯৪ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, চলতি অর্থবছর শেষে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রথমবারের মতো ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, দু’দেশের এই বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিতে আগ্রহী ভারত। এ জন্য দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই’র সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে।
সৌজন্য সাক্ষাতে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু, বিজয় কুমার কেজরীওয়াল, মো. শাহ জালাল, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, ড. যশোধা জীবন দেব নাথ, প্রীতি চক্রবর্তী ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, লজিস্টিকস, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, অটো মোবাইল ও পোশাকখাতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উন্নত করতে চায় তার দেশ।
এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, লজিস্টিকস খাতের উন্নয়ন এফবিসিসিআইয়ের প্রধান লক্ষ্য। এ খাতের উন্নয়নে সরকারকে ১২ বছরব্যাপী পরিকল্পনা জমা দিতে কাজ করছে এফবিসিসিআই।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য সম্ভাবনা বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, এলডিসি পরবর্তী সময়ে পোশাক শিল্পে সুতা ও তুলার বড় যোগানদাতা হতে পারে ভারত। বাংলাদেশে ভারতীয় কোম্পানিগুলো ভালো করছে। তাই বাংলাদেশে অন্যান্য ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগও লাভজনক হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন মো. জসিম উদ্দিন।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে স্থলবন্দরগুলোর ভারতীয় অংশের অবকাঠামো উন্নয়নের তাগিদ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ভারতীয় বন্দরের সুযোগ-সুবিধার অভাবে বাংলাদেশ থেকে অনেক পণ্য রফতানি করা যাচ্ছে না। তাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ভারতের রাষ্ট্রদূত জানান, পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল দ্রুত ও সহজ করতে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে শিগগিরই আরেকটি নতুন গেট চালু করা হবে। অন্যান্য স্থলবন্দরে আরও বেশি পণ্য আমদানি-রফতানির সুযোগ বাড়লে ভারতীয় অংশে উন্নয়ন কাজ হাতে নেওয়ার আশ্বাস দেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
তিনি বলেন, তার সরকার দুই দেশের বাণিজ্য ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে আগ্রহী। এ জন্য আগামী ফেব্রুয়ারিতে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এছাড়াও দুইদেশের মধ্যে সিইও’স ফোরাম চালুর আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারত-বাংলাদেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের ফোরাম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সমস্যা দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুন:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ব্যাপারে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
গাঁজাভর্তি ব্যাগসহ ধরা ছাত্রলীগ নেতা
হারুনের এক বক্তব্যেই সংসদে উত্তেজনা, হারুন বললেন...
news24bd.tv তৌহিদ