কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট চালু করা হয়েছে। সাইবার অপরাধের তদন্ত, অপরাধী শনাক্ত ও গ্রেফতারে কাজ করবে এ ইউনিট। নতুন এ ইউনিট কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেছেন পুলিশ সুপার খাইরুল আলম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ রাজিবুল ইসলামকে এ ইউনিটের ইনচার্জ করা হয়েছে।
পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আনিসুল ইসলাম, এস আই কাজী এহসানুল হক, এস আই পিংকি বিশ্বাসকে বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ইউনিটে বদলি করা হয়েছে। এছাড়াও ৩ জন এএসআই, একজন নায়েক, ৭ জন কনস্টেবলকেও দেয়া হয়েছে এ ইউনিটে।কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলমের স্বাক্ষরিত লিখিত আদেশে তাদের নতুন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তৃতীয় তলায় সাইবার ক্রাইম ইউনিটের জন্য অফিস নেয়া হয়েছে।
এখানে কম্পিউটার বসানো হয়েছে। ব্যবস্থা রাখা হয়েছে টেলিভিশনে কী খবর প্রচার হচ্ছে তা মনিটরিংএর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ হয়রানীর শিকার হচ্ছে কী-না এগুলো দেখা হচ্ছে। ফেসবুকের পেইজগুলোতে নজরদারি করা হচ্ছে রাষ্ট্রবিরোধী কোন প্রচারণা হচ্ছে কী না।
তিনি বলেন, সাইবার পেট্রোলিং এর পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম যেগুলো হচ্ছে যেমন বিকাশ প্রতারণা, কোন ছবি বিকৃত করা বা মানহানিকর কিছু হচ্ছে কী না সেগুলোও দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম নিয়ে আগেই কুষ্টিয়া পুলিশ অনেক কাজ করেছে, অনেক সাফল্যও আছে। আগে এসব বিচ্ছিন্নভাবে হতো এখন একটি ইউনিটের আওতায় গোছানোবাবে হবে। রাজিবুল বলেন, থানাগুলোতে সাইবার রিলেটেড কোন অভিযোগ পড়লে তা সব এই ইউনিটে কম্পাইল করে পাঠানো হবে। তার ওপর আমরা কাজ করবো। রাজিবুল আশাবাদী এই ইউনিট কুষ্টিয়ার মানুষের উন্নত সেবা দিতে পারবে।
পুলিশ সুপার খাইরুল আলম আশা করেন, এ ইউনিট সমাজে অপরাধ প্রবণতাকে কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোড়গোড়ায় আরো সহজ ভাবে পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে পারবে।
news24bd.tv/আলী