তালেবান সরকারকে এখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি কোন দেশ। স্বীকৃতি দেয়নি তালেবানের মিত্র বলে পরিচিত চীনও। তবে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি কাবুলে দূতাবাস চালু রেখেছে বেইজিং। ধারণা করা হচ্ছে, আফগানিস্তানে সম্ভাব্য খনিজ সম্পদ নিজেদের কব্জায় আনতেই তালেবানের সাথে সম্পর্কের এই কৌশল নিয়েছে শি জিন পিং সরকার।
দুই দশকের যুদ্ধে বির্পযস্ত আফগানিস্তানের অর্থনীতি পুরোপুরি বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। তবে গেল আগস্টে তালেবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর পশ্চিমাদের সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে দেশ দখলের চেয়ে, দেশ শাসনেই কঠিন হয়ে পড়ে তালেবানের জন্য। তাইতো আফগানিস্তান চীন, পাকিস্তান, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দ্বারস্থ হয় তারা।
এমন সংকটকালে ৩১ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসে বেইজিং। মানবিক সহায়তার পাশাপাশি তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে চীন। আগস্টের পর থেকে দুই পক্ষই বৈঠক করেছে একাধিকবার। এসব আলোচনায় এসেছে আফগানিস্তান পুনর্গঠনের বিষয়। একই সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ প্রত্যাহার, বিদেশে আফগানিস্তানের জব্দ করে রাখা সম্পদ অবমুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে চলেছে বেইজিং। এমনকি কাবুলে চীনের দূতাবাসও খোলা রেখেছে শি সরকার।
আরও পড়ুন:
৬ হাজার ৮৭০ কোটি ডলারে ভিডিও গেম কোম্পানি কিনবে মাইক্রোসফট
নিত্যপণ্যের দাম আরো উচ্চ হারে বাড়ার আভাস
এসব ঘটনায় চীন-তালেবানের সখ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বলা হচ্ছে, বিশ্বের প্রায় দেশই যখন তালেবান সরকারকে একঘরে করে রেখেছে, সেখানে চীনের এতো নৈকট্য তালেবান পায় কি করে? ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানে বহু মূল্যবান খনিজ সম্পদ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। যেগুলো স্মার্টফোন, ট্যাবলেট আর এলইডি স্ক্রিন শিল্পের জন্য জরুরি। এসব নানা কাজে চীন বহু আগে থেকেই আফগানিস্তানের সম্ভাব্য খনিজ সম্পদ আহরণে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়ে আসছে।
তবে এতোকিছুর পরেও তালেবানকে এখনো বৈধতা দেয়নি বেইজিং। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তালেবান সরকার পরাশক্তিগুলোর কাছ থেকে স্বীকৃতি পায় কি না, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে চীন। কারণ একা নিজের কাঁধে আফগানিস্তান পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিতে রাজি নয় শি জিন পিং সরকার।
news24bd.tv/এমি-জান্নাত