মাদারীপুরের কবিরাজপুরে দুই বছর আগে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) এর ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হলেও এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। নানা ধরনের প্রশাসনিক জটিলতায় ভবনগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। এতে এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের দক্ষ মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট হিসেবে তৈরী করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয়রা বলছেন, এই ম্যাটসটি চালু হলে দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা দেওয়ায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
মাদারীপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর ইউনিয়নের শোলপুর গ্রামে তিন একর জমির উপরে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৯ টাকা খরচে দেশের দক্ষ মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট তৈরীর করার জন্য মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ঢাকার মোহম্মদপুর ঠিাকানার বিবিএল এন্ড ঈশান ইঞ্জিনিয়ারিং কোঃ লিঃ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তাবায়ন করে। তাদের অধীনে একটি একাডেমিক ভবন, দুইটি হোস্টেল, একটি অধ্যক্ষের বাসভবন, দুইটি স্টাফ কোয়ার্টার, একটি গ্যারেজ কাম ড্রাইভার কোয়ার্টার, একটি সাব-স্টেশন ২০১৮ সালের ২০ আগষ্ট শেষ করে।
পরবর্তীতে আবার ৮ কোটি ৯৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা খরচে এভারেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর একটি বালক হোস্টেল নির্মাণ করার কাজ শুরু করে। যা চলতি বছর শেষ করে। কিন্তু নির্মাণের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করে কর্তৃপক্ষ ম্যাটসের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এতে মাদারীপুরসহ এই অঞ্চলের মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা দক্ষ জনবল ক্যারিয়ার গড়তে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি ভবনগুলোতে কোন কার্যক্রম না থাকায় মাদকসেবীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই দ্রুত এটি চালু করার দাবী স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা শাওন করিম বলেন, ভবনগুলো ভুতের বাড়ির মত দাঁড়িয়ে আছে। কোন কাজে আসছে না। উল্টো মাদকসেবীরা এটাকে নিরাপদ আশ্রয় মনে করে। বসে এখানে বসে মাদকের আড্ডা। আমরা চাই দ্রুত এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হোক। আরেক বাসিন্দা রিফাত হোসেন সুজন বলেন, কোন পরিকল্পনা না করে আগেই ভবন তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম করে শুরু হবে কেউ জানে না।
এবিষয়ে মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমেদ খান জানান, কবিরাজপুরের ম্যাটসটির কার্যক্রম আমরা শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তবে বিষয়টি তো আমার একার হাতে নেই। অনেকগুলো দপ্তর এখানে জড়িত। চাইলেই আমি শুরু করে দিতে পারি না। তবে ২০২২ সালের মধ্যে এটি চালু করা যায় কি না আমি সে চেষ্টা করবো। ’
news24bd.tv/আলী