মাইগ্রেনের চিকিৎসা নিতে গিয়ে চিকিৎসকের কাছে বাবার ভয়ঙ্কর কীর্তির কথা শোনাল ১৭ বছরের কিশোরী। কীভাবে তাকে প্রতিরাতে যৌন নির্যাতন করে নিজের বাবা, সেই কাহিনী শুনে চমকে ওঠে চিকিৎসক।
সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী ভারতের বিহারে তার পরিবারের সঙ্গে থাকে। দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে মাইগ্রেনের চিকিৎসার জন্য যায় ওই কিশোরী।
চিকিৎসার শেষ পর্যায়ে এসে ওই কিশোরী জানায়, কয়েক বছর ধরে তার বাবা তাকে ঘুমের মধ্যে যৌন নির্যাতন করে। যখনই সে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে তখনই তার বাবা তাকে মারধর করে।
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর দাবি, বাবা তার কিছু অশ্লীল ছবি মোবাইল ক্যামেরায় তুলে রেখেছে। দিল্লি সফরের সময় সেই ফটো তার বাবা আরও অনেককে দেখিয়েছে বলে জানায় কিশোরী। আর এসব ঘটনার পরই কিশোরীর মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়।
কিশোরী পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে পড়াশোনা করেছে। কিন্ত মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেওয়ায় সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি। তার সঙ্গে অনবরত ঘটে যাওয়া ধর্ষণের কথা সাহস করে মাকেও জানায়নি কিশোরী। চিকিৎসকরাই ওই কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
এক সমীক্ষায় জানা গেছে, শিশুরা যৌন নির্যাতনের পর গভীর অবসাদে চলে যায়। ২০১৬ সালে দিল্লি পুলিশের এক সমীক্ষায় জানা গেছে, ৮৪ শতাংশ শিশু ধর্ষণ হয় তার বাড়ির মধ্যেই এবং তা দরিদ্র শ্রেণির মধ্যেই বেশি ঘটে। পাশাপাশি, ৩৯ শতাংশ শিশুর ধর্ষণের পেছনে পরিবারের বড় কেউ যুক্ত থাকে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
