ঘুমন্ত গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ, আসামি ধরা

ঘুমন্ত গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ, আসামি ধরা

অনলাইন ডেস্ক

ভোলায় ঘুমন্ত গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ ও তিন মাস বয়সের শিশুকন্যাকে ডোবায় ফেলে হত্যার ঘটনায় ঘটনার সাত মাস পর শনিবার (২২ জানুয়ারি) মামলার দুই নম্বর আসামি মো. জুলহাসকে ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এলাকাবসীর বরাতে পুলিশ জানায়,  ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিনের ঘরে ডুকে ঘুমন্ত গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ করে ডাকাতদল। ধর্ষণের এক পর্যায়ে গৃহবধূর তিন মাস বয়সের শিশুকন্যা চিৎকার করে উঠলে ডাকাতরা শিশুটিকে ঘরের পেছনে একটি ডোবায় ফেলে হত্যা করে। এ সময় তারা ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও টাক-পয়সা লুট করে নিয়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ৬ জুলাই দিবাগত রাতে।

ঘটনার পরদিন ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় সাতজনকে আসামি করে হত্যা, ডাকাতি ও গণধর্ষণ মামলা করেন।  

মামলার দুই দিন পর পুলিশি তদন্তে লালমিয়া ওরফে লালু নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

পরে তাকে আদালতে তোলা হলে আদালতে তিনি ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়ে নিজের সম্পৃক্ততা ও ঘটনার চাঞ্চল্যকর বর্ণনা দেন।

বেরিয়ে আসে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের নাম।

এর আলোকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সাত মাস পর শনিবার (২২ জানুয়ারি) মামলার দুই নম্বর আসামি মো. জুলহাসকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার জুলহাস সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাসিয়া গ্রামের গ্রামের রতন মৃধার ছেলে।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) তাকে আদালতে তোলা হলে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গোপনীয়তার স্বার্থে বাকি আসামিদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।

news24bd.tv/ তৌহিদ