মানবিক ওসি আব্দুল মতিনকে দেখলেই ছুটে আসে শিশুরা

মানবিক ওসি আব্দুল মতিনকে দেখলেই ছুটে আসে শিশুরা

নাটোর প্রতিনিধি

একসময় পুলিশ দেখলে সাধারণ মানুষ ভয় পেতো। আর এখন পুলিশ দেখলে সবাই দৌড়ে কাছে আসে। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষ প্রশংসা করছেন গুরুদাসপুর থানা পুলিশের সেবায়। কেননা পুলিশিং সেবায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মতিন।

বিশেষ করে তিনি যে এলাকাতেই যাননা কেন শিশুরা দেখলেই তার কাছে ছুটে আসে।  

গুরুদাসপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর থেকেই ধারাবারষা ইউনিয়নের দাদুয়া ও খাকড়াদহ এলাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দ্বন্দ লেগেই ছিলো। আইনসৃংঙ্খলা রক্ষায় সেই এলাকাতে প্রায় ছুটে চলেছেন ওসি আব্দুল মতিন সহ পুলিশ সদস্যরা। এলাকার দুই পক্ষের দ্বন্দ মিটাতে বিভিন্ন ভাবে তিনি সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছেন।

সেই এলাকার সাধারণ মানুষ ওসি আব্দুল মতিনের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।  

সম্প্রতি গত ২৩ (জানুয়ারী) শনিবার বিকেলে ওই এলাকার শিশুদের সাথে দেখাযায় তাকে। তিনি শিশুদেরকে চকলেট প্রদান করছেন। উচ্ছাসিত হয়ে শিশুসহ নারীরাও সেই চকলে নিচ্ছে হাঁসি মুখে।  

থানা সূত্রে জানা যায়, ওসি আব্দুল মতিন ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই উপজেলার আইনসৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নত করেছেন। বিশেষ করে মাদক, সন্ত্রাস, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ সকল অপরাধ নিষ্ক্রিয়ভাবে দমন করতে সফল হয়েছেন। থানায় আগত সেবাগ্রহিতাদের চা-বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন করান তিনি। শিশুদের দেওয়া হয় চকলেট। সাধারণ ডায়েরি বা অভিযোগ কোন কিছু করতেই আর টাকা লাগে না। ডায়েরি ও অভিযোগ লেখার জন্য রাখা হয়েছে একজন পুুলিশ সদস্য রাইটার কে। যে কোন ঘটনায় নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন এবং দ্রæত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ওসি।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন সেবাগ্রহিতার সাথে কথা বললে তারা জানান, যে কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তৎখনাত সেটির কার্যক্রম শুরু করে দেন ওসি। তাছাড়াও তার অফিসে ঢুকতে কারো অনুমোতি লাগে না। অফিসে যে কোন সমস্যা নিয়ে গেলেই ওসি নিজ দায়িত্বে পর্যবেক্ষন করেন এবং বিভিন্ন ভাবে আপ্যায়ন করে থাকেন। পুলিশের এমন ব্যবহার সকল সময় থাকলে আইনসৃঙ্খলার কোন অবনতি হবে না বলেও অনেকে জানান।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আব্দুল মতিন জানান, পুলিশ জনগণের বন্ধু। মানুষের যে কোন সমস্যায় পুলিশ সর্বক্ষণ পাশে থাকবে। সাধারণ মানুষের সাথে ভাল ভাবে মিশতে পারলে যে কোন সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হওয়া যায়। তাছাড়াও আমি চেষ্টা করি সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক রাখতে। যে কেউ যে কোন সময় যেন তার সমস্যার কথা অনায়াশে খুলে বলতে পারেন। আর থানায় আগত সকল কে আপ্যায়ন করা হয়। কেননা মানুষ তার সমস্যা নিয়ে থানায় আসে সমাধানের লক্ষ্যে। প্রতিটি সেবাগ্রহিতার সাথে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের প্রতিটি সদস্য সুন্দর ব্যবহার করে তাদের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

news24bd.tv/আলী