বাণিজ্যমেলা বন্ধ ও বইমেলা পেছানোর সুপারিশ

বাণিজ্যমেলা বন্ধ ও বইমেলা পেছানোর সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বাণিজ্যমেলা বন্ধ করা এবং বইমেলাও আরও পিছিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকারকে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে আরও কঠোর হওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

ডা. সহিদুল্লা বলেন, আমরা কয়েক দফায় সরকারকে বিধিনিষেধ কঠোর করার ব্যাপারে বলেছি। এখন শুধু বিধিনিষেধ দিলেই তো হবে না, এর বাস্তবায়ন ও কঠোর প্রয়োগ জরুরি।

বলা হয়েছে, গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিতে হবে, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, অফিসগুলোতে অর্ধেক লোকবল নিয়ে চালাতে হবে। শুধু নির্দেশনাই নয়, এগুলো ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই করোনা নিয়ন্ত্রণে পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী ও বাণিজ্য মেলা বন্ধ এবং বইমেলা পেছানো উচিত।

তিনি বলেন, ওমিক্রন প্রতিরোধে নতুন করে লকডাউন দিয়ে লাভ হবে না।

এছাড়া এই মুহূর্তে হাসপাতালগুলোতেও তুলনামূলক রোগী কম। আমরা যখন দেখি হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি, চিকিৎসকদের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, তখন লকডাউনের সুপারিশ করি।

কমিটির এই সভাপতি বলেন, লকডাউন দিলে জনজীবনে প্রভাব পড়বে, অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে; কাজেই লকডাউনের আগে যে কাজগুলো বেশি কার্যকর সে কাজগুলো যদি আমরা যথাযথভাবে করতে পারি, তাহলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রথম দেখা দেয় দক্ষিণ আফ্রিকায়, তারা লকডাউন না দিয়ে শুধু স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

news24bd.tv তৌহিদ