প্রকৃতির নিয়মে এসেছে শীত। শীতে খেজুর রস না হলে যেন একদমই জমে না। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে গাছ থেকে রসে ভরা মাটির কলস নামানোর দৃশ্য এখন ঝিনাইদহে প্রতিটি এলাকায়। যা দিয়ে তৈরী হচ্ছে গুড় ও পাটালি।
সু-স্বাদু এই গুড় ও পাটালি দিয়ে তৈরী হচ্ছে বিভিন্ন পদের পিঠা। শীত জেকে বসার ফলে রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা। তাই ঝিনাইদহের এই ঐতিহ্য খেজুর গাছ টিকিয়ে রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঝিনাইদহ জেলার গ্রামীণ মেঠোপথের ধারেই রয়েছে সারি সারি খেঁজুর গাছ।
কার্তিক মাসের শুরু থেকেই তারা খেজুর গাছ তোলা ও পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। গাছ তোলার ১৫ দিন পর তা চাঁচ দেওয়া হয়। এর ১৫ দিন পর লাগানো হয় বাঁশের তৈরী নলি যা দিয়ে মাটির কলসে গড়িয়ে পৌঁছায় রস। যতবেশী শীত পড়বে ততবেশী রস উৎপাদন হয় বলে জানান গাছিরা।
তবে এটি চলে শীতের ৩মাস। এখন চলছে মাঘ মাস। এমাসেই বেশি বেশি খেঁজুর বাগান থেকে রস সংগ্রহ করে হাড়ির গুড় ও পাটালি তৈরি করে থাকেন তারা। আর এসব গাছিদের কাছ থেকে গুড় ও পাটালি কিনে তা ঝিনাইদহ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন ব্যবসায়ীরা।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী জানান, ঝিনাইদহের গুড় অনেক বিখ্যাত। যশোরের পরই গুড় উৎপাদনে এ জেলার স্থান। এখানে উৎপাদিত খেজুর গুড় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। মাটির হাড়িতে দুই, পাঁচ ও আট কেজি করে এসব গুড় সরবরাহ করা হয়। আগে অনেক কৃষক না বুঝে খেজুর গাছ ইট ভাটায় বিক্রি করে দিত। আমরা এই গাছ সম্প্রসারণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।
আরও পড়ুন
নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৩
news24bd.tv এসএম