টিকাদানের বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

টিকাদানের বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকাদানের বিষয়টি আমার সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলামের (টিটু) এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি প্রাপ্তির পূর্ব হতেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদানের বিষয়ে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম।

তারই ফলস্বরূপ দেশব্যাপী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে বিনামূল্যে কোভিড টিকাদানের কার্যক্রম শুরু হয় এবং অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় ১৭ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত আট কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ জনকে ১ম ডোজ এবং ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৪ জনকে ২য় ডোজসহ মোট ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮১২ জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সারাবিশ্বের মতো দেশের কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে। বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ, বাংলাদেশের সুপারিশ অনুযায়ী এবং করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ প্রদান শুরু করা হয়েছে।

বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন


টেকনাফ থেকে সাড়ে ২৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ

news24bd.tv এসএম