কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ

ফাইল ছবি

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে এবার ইউপি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা।  

বুধবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী এক সঙ্গে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও পুলিশ সুপার কার্যালয় এই লিখিত অভিযোগ দেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাঁর অনুসারী জনবিচ্ছিন্ন প্রার্থীদের জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল করে অবৈধভাবে নির্বাচিত করার লক্ষ্যে সাতটি ইউনিয়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আব্দুল কাদের মির্জা ইতোমধ্যে তার সন্ত্রাসীদের দিয়ে এবং তিনি সশরীরে বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীসহ কর্মী সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।

মোবাইল ফোনে ও অনেককে হুমকি দিচ্ছে। এতে করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অভিযোগে আরো জানা যায়, তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পৌরসভার সরকারি গাড়িসহ তাঁর তার লোকজন সঙ্গে করে গাড়ি বহর নিয়ে বিভিন্ন গণসংযোগে উপস্থিত হয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য ও নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।  
ফলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দাঙ্গা-হাঙ্গামা সহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এমতাবস্থায় আব্দুল কাদের মির্জার এমন উস্কানিমূলক কর্মকান্ড বন্ধ সহ তাঁর গাড়ি বহরে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার পূর্বক একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়।

লিখিত অভিযোগ দেওয়া প্রার্থীরা হলেন ২নং চরপার্বতী ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, মুছাপুর ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন, ৮নং চর এলাহী ইউপির প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক, ৬নং রামপুর ইউপির প্রার্থী সিরাজিস সালেকীন রিমন, ৩নং চরহাজারী ইউপিতে নুরুজ্জামান স্বপন, ৫নং চরফকিরা ইউপির প্রার্থী জায়দল হক কচি, ১নং সিরাজপুর ইউপির প্রার্থী মাঈন উদ্দিন মামুন।

অভিযোগের বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার মোবাইলে বার বার ফোন দিলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। এজন্য তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।  

এ বিষয়ে নোয়াখালীর নবাগত জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা ২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

news24bd.tv/আলী