নেশা করতে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা!

প্রতীকী ছবি

নেশা করতে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা!

অনলাইন ডেস্ক

নেশা করতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। আজ শনিবার রাত ৩টার দিকে নরসিংদীর উপ-শহর হাজিপুরের চকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মিয়া স্থানীয় বাজারে হলুদ মরিচ এর দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করত।

নিহত সুবর্না আক্তার (২১)  হাজীপুর বেঙ্গল এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।  

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রায় ৩ বছর আগে হাজীপুর বেঙ্গল শফিকুল ইসলামের মেয়ে সুবর্না আক্তারের সাথে সোহেল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই যৌতুক ও নেশার টাকা যোগার করে দেয়ার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতো সে।  

এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো।

এরই জের ধরে সুবর্না কয়েক দফায় বাবার বাড়ি চলে যায়। সর্বশেষ গত শুক্রবার দুপুরে সুবর্নাকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে স্বামী সোহেল মিয়া। কিন্তু দিন পার হতে না হতেই পুনরায় ঝগড়া শুরু হয়।  

রাত ২টার দিকে স্বামী সোহেল মিয়াকে নেশা করতে বাধা দেয় তার স্ত্রী। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সোহেল মিয়া হাতুরি ও সেলাই র‌্যাঞ্জ দিয়ে তার স্ত্রী মাথায় ও মুখণ্ডলে এলোপাতারি পিটাতে থাকে।  

এর এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে তার পেটে আঘাত করে। রাত ৩টার দিকে সুবর্নার বাড়িওলার স্ত্রী বের হয়ে সুবর্নাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ নিহতের স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।  

নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, জামাই নেশাগ্রস্ত ছিলো সেটা আমরা জানতাম না। দুইদিন পর পর সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকতো। পরে মিলিয়ে দিতাম। বিয়ের পর থেকে এভাবেই চলছিলো । আমি গরিব। পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাই।  

এর মধ্যে যতটুকু সম্ভব টাকা দিয়ে জামাইয়ের চাহিদা মিটাতাম। কিন্তু সব সময় পেরে উঠতাম না। তাই বলে সে আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলবে বুঝতে পারি নাই। আমি তার বিচার চাই।
 
নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যের কারণ জানতে অনুসন্ধান চলছে। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হতো না।  

news24bd.tv/ কামরুল