রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ট্রাকচাপায় এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল গোটা ক্যাম্পাস। দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা পাঁচটি ট্রাকে আগুন দেয়। পরে একদল শিক্ষার্থী উপচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় এবং আরেকদল ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অবস্থান থেকে শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি তুলে আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
সাত দফাগুলো হলো:-
১. এটাকে কোনোভাভেই আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বলছি না, এই হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে;
২. ভিক্টিমের পরিবারকে সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; সেই সাথে আহত দুজনের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে; তা ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে;
৩. অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়কে এই হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদী হতে হবে;
৪.হিমেল হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি ক্যাম্পাসের প্রতিনিয়ত চলমান নিরাপত্তাহীনতা, অনিয়ম, দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা, ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার চূড়ান্ত বহিপ্রকাশ
৫. চলমান এই নিরাপত্তাহীনতা ও ব্যর্থতার দায় নিয়ে ‘অযোগ্য’ প্রক্টরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে;
৬. ভিক্টিমের পরিবারের কোনো এক সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে;
৭. তিন গেইটে তিনটি ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।
গতকাল রাত পৌনে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের মালপত্র বহনকারী ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারান চারুকলা অনুষদের ছাত্র মাহমুদ হাবিব।
কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকের নিচে একটি মোটরসাইকেল দেখা যায়। পাশেই পড়ে ছিল মাহমুদ হাবিবের মরদেহ।
মাহমুদ হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ২০১৬-১৭ বর্ষের ছাত্র। তিনি শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং রাবি ড্রামা অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হিমেলের পিতার নাম আহসান হাবিব হেলাল। তিনি বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার উলিপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই দুর্ঘটনায় রায়হান প্রামাণিক নামে তার এক বন্ধু আহত হয়েছেন।