অ্যাম্বুল্যান্সে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

গ্রেপ্তার

অ্যাম্বুল্যান্সে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

অনলাইন ডেস্ক

ওভারটেকিং-এর মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুমূর্ষু রোগী বহন করা অ্যাম্বুল্যান্সের গতিরোধ করে একটি হায়েস মাইক্রোবাস। এসময় অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা ৯ বছরের ক্যান্সার আক্রান্ত মুমূর্ষু শিশু আফসানা মারা যান। তার এই মৃত্যুর ঘটনায় দুই চালককে গ্রেপ্তার করেছে সাভার আশুলিয়া থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গাড়ি চালক ইমরান হোসেন ও হানিফ খান। আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে শিশু আফসানাকে বহনকারী অ্যাম্বুল্যান্সটি বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়ক হয়ে গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার উদ্দেশে ফিরছিল মহাখালীর ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে। ওভারটেকিং-এর মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়ার বাইপাইলে পৌঁছালে চলন্ত অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সটিকে পেছনে থাকা একটি হায়েস মাইক্রোবাস সামনে এসে গতিরোধ করে।

মাইক্রোবাসের চালক নজরুল নেমে অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ও সহকারীকে মারধর শুরু করে। পরে আরো কয়েকজন সহযোগীকে ডেকে আনে নজরুল ইসলাম। এক পর্যায়ে নজরুলসহ তারা অ্যাম্বুল্যান্সের চাবিটিও ছিনিয়ে নেয় সে। এসময় অ্যাম্বুল্যান্সেই ছটফট করতে করতে বাবার কোলে মারা যায় শিশু আফসানা।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর থানার দোপাকান্দী গ্রামের আব্দুর রহমান খানের ছেলে হানিফ খান (৪০)। তিনি আশুলিয়ার বাইপাইলে বসবাস করে রেন্ট এ কারের প্রাইভেটকারের চালক। আরেকজন টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের খুপিবাড়ি গ্রামের মৃত সুরুজ মন্ডলের ছেলে মো. ইমরান (২৫)। তাকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি হলেন, মাইক্রোবাসের চালক নজরুল ইসলাম। মামলার স্বার্থে বাকি আসামিদের পরিচয় জানায় নি পুলিশ।

আরও পড়ুন: আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস উপাচার্যের

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এস আই সামিউল ইসলাম বলেন, ঘটনায় জড়িত সবার পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত দুই চালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

news24bd.tv রিমু