অর্থায়ন করবে না সৌদি, নিজস্ব টাকায় হবে মডেল মসজিদ

অর্থায়ন করবে না সৌদি, নিজস্ব টাকায় হবে মডেল মসজিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৬ সালে দেশজুড়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিককেন্দ্র নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন সৌদি আরবের বাদশাহ। এই আশ্বাসেই প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার, যার সিংহভাগ সৌদি আরব দেবে বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু বছর পেরোতেই সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গেছে সৌদি। দেশটি এক পয়সাও দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

ফলে প্রকল্প অনুমোদনের পরের বছরেই বাধ্য হয়ে তা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

পরিকল্পনা কমিশনে এ প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব পাঠিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আগামীকাল (২৬ জুন) এর সংশোধনী প্রস্তাব জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) উপস্থাপনের কথা রয়েছে।

news24bd.tv

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, দেশব্যাপী নেয়া এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয় গেল বছরের এপ্রিলে।

ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৮ হাজার ১৬৯ কোটি ৭৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়ার কথা ছিল সৌদি আরবের। বাকি টাকা বরাদ্দ দেয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি)। প্রকল্পের এক বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতির কোনো পয়সা ছাড় করেনি সৌদি। ভবিষ্যতে আর অর্থ ছাড়ও করবে না। তাই প্রকল্প সংশোধন করে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এসব মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পটির পরিচালক ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ জমাদ্দার বলেন, মডেল মসজিদ প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এই প্রকল্পে সৌদি আরব অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও দেয়নি। ভবিষ্যতেও এ অর্থ পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, সব মসজিদই নির্মাণ হবে। ডিজাইনেরও পরিবর্তন হবে না। নির্দিষ্ট মেয়াদেই এগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তবে এসব নির্মাণে সরকারের নিজস্ব অর্থ বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের বছরের এপ্রিল থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। চলতি অর্থবছর প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ রয়েছে ৩৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কিন্তু এই অর্থ তেমন ব্যয় করা হয়নি। এই অবস্থায় প্রকল্প সংশোধন করা হচ্ছে। এতে প্রকল্পের কাজে কিছুটা পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কিছু বরাদ্দও কমানো হচ্ছে।

কমিশন জানায়, মূল প্রকল্পে মসজিদগুলোতে লিফটের ব্যবস্থা ছিল। সংশোধিত প্রকল্পে তা আর থাকছে না। তবে লিফট স্থাপনের জন্য ফাঁকা জায়গা রাখা হবে। পরবর্তীতে কোথাও থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত হলে এসব মসজিদে লিফট স্থাপন করা হবে। এর ফলে প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা কমে যাচ্ছে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সংশোধিত এ প্রস্তাব অনুমোদন পেলে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর