দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় আক্রমণের আশংকা

সংগৃহীত ছবি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় আক্রমণের আশংকা

আসমা তুলি

রাশিয়াকে ইউক্রেনে যুদ্ধের প্ররোচনা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। এমন অভিযোগ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, কিয়েভকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ওয়াশিংটন। যার অন্যতম লক্ষ্য রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ। তবে রাশিয়ার এমন অভিযোগ নাকচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

চলমান সংকট সমাধানে কুটনৈতিক পথকেই অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে দাবি ওয়াশিংটনের। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় আক্রমণের আশংকা রয়েছে।

ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে প্রায় একমাস পর প্রকাশ্যে মুখ খুললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার মস্কোয় তিনি বলেন, ইউক্রেন ঘিরে যে সংকট তৈরি হয়েছে তার সহজ সমাধান কঠিন।

সমস্যা সমাধানে  সব পক্ষকে সবার নিরাপত্তায় মনোযোগ দিতে হবে।  

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে ন্যাটোসহ পশ্চিমারা এতটা উদ্বিগ্ন নয়। তারা রাশিয়ার নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। তাদের  মূল উদ্দেশ্য নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে রাশিয়ার উন্নয়নকে আটকে রাখা।
তবে সংকট সমাধানে আলোচনা পথ খোলা বললেও নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন।  

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, রাশিয়ার জন্য কূটনৈতিক দ্বার উন্মুক্ত। তারা ক্রমান্বয়ে সীমান্তে সৈন্য ও অস্ত্র জড়ো করছে। আমরা জানি না, প্রেসিডেন্ট পুতিন কী সিদ্ধান্ত নেবেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া আগ্রাসন চালালে কেবল ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হবে না।  ইউরোপকেও একটি পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:

আবাসন ব্যবসায় সংকটের মুখে চীনের অর্থনীতি

তবে যুদ্ধের আশংকা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরাও।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে  যুদ্ধ কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। একই প্রতিক্রিয়া চীনেরও।

news24bd.tv/এমি-জান্নাত