ব্রিটেনের প্লাস্টিক বর্জ্য আসছে বাংলাদেশে

ব্রিটেনের প্লাস্টিক বর্জ্য আসছে বাংলাদেশে

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের জন্য বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্য রপ্তানি করছে ব্রিটেন। কামরাঙ্গীরচর,মাতুয়াইলসহ রাজধানীর আশপাশের ভাগাড়ে এসব বর্জ্য জড়ো করা হচ্ছে।

জড়ো হওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য বাছাই থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যন্ত সব ধরনের কাজে খাটানো হচ্ছে শিশু-কিশোরদের। সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় এক বাণিজ্য সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই (জানুয়ারি-এপ্রিল) বাংলাদেশে এক লাখ ১০ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য পাঠিয়েছে ব্রিটেন।

আগে ব্রিটেনের প্লাস্টিক বর্জ্য রপ্তানির দুই-তৃতীয়াংশেরই গন্তব্য ছিল চীন। কিন্তু আমদানিতে চীন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় রপ্তানি বাড়িয়েছে ব্রিটেন।

তবে আমদানিতে বিধি নিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে পোল্যান্ড ও ভিয়েতনামও।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, সাগরে প্লাস্টিক দূষণের সবচেয়ে জঘন্য উৎসের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া।

সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে ব্রিটেনের প্লাস্টিক বর্জ্য নিঃসরণ বন্ধে দেশটির পরিবেশ সচিব মাইকেল গোভ বলেন, ‘ব্রিটেন স্বল্প সময়ের জন্য আরও কিছুদিন বিদেশে প্লাস্টিক বর্জ্য পাঠাবে। ’

এদিকে, ডেইলি মিররে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের প্লাস্টিক শিল্পসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ। আর আমদানি নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বর্জ্য বাংলাদেশের কামরাঙ্গীরচরে আসছে, এটা কী করে সম্ভব? এটা অবাস্তব তথ্য। ’

‘অনেক আগে পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের পর রপ্তানির জন্য হ্যাঙ্গার আমদানির অনুমোদন চেয়েছিল বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠান। সরকার তখন সে অনুমোদন দেয়নি। সংগঠন থেকে যাতে এ অনুমোদন দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে আমরাও সুপারিশ করেছিলাম। এ প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয়, প্রতিবেদনটিতে সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি। ’

পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী বলেন, ‘কোনো ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি করা হয়েছে কি না, সে বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি আজই (সম্প্রতি) শুনলাম। নিয়ম অনুযায়ী কোনো ধরনের বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ। ’

‘আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য বাইরের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। তবে আমদানি করা বর্জ্য যদি নিয়ম মেনে পুনঃপ্রক্রিয়া করা হয়, তাহলে তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হবে না। ’
 

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর