বৃষ্টি শেষে শুরু হচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ

সংগৃহীত ছবি

বৃষ্টি শেষে শুরু হচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ

অনলাইন ডেস্ক

আজও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা শনিবার পর্যন্ত থাকতে পারে। এরপর তা ধীরে ধীরে কমে আসবে। এরপর আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, আজ শুক্রবার দিবাগত রাতেও বৃষ্টি হতে পারে। কালও(শনিবার) এ প্রবণতা থাকতে পারে। রোববার থেকে বৃষ্টি কমতে থাকবে। এরপর তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমে যাবে।

 তাপমাত্রা কমে গেলে বেশি শীত অনুভূত হবে। তবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে বা জানুয়ারিতে যেরকমটা হয়, তেমন হবে না। ক

পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল এবং এর আশেপাশের উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে এই বৃষ্টি দেশের পশ্চিম-উত্তরাঞ্চল থেকে সরে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি রাজধানীর আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকতে পারে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেব্রুয়ারি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাসের শেষ দিকে দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ২ দিন শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।
 
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মলি­ক বলেন, এই বৃষ্টিপাতের মূল কারণ পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং দেশের ভেতরে থাকা গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘপুঞ্জ। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে এসেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। সেগুলো আগে থেকে দেশের ভেতরে থাকা গুচ্ছ মেঘপুঞ্জের সম্মিলনে বজ্রমেঘের সৃষ্টি করে। এর ফলে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। প্রথমে হালকা থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকে এর তীব্রতা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তা মাঝারি আকার ধারণ করে। এই বৃষ্টি কালও (শনিবার) চলতে পারে।  

আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পঞ্চগড়, বদলগাছি, নীলফামারী, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা, যশোর, মাদারীপুর ও ঢাকায় মাঝারি আকারের বর্ষণ হয়। পরিস্থিতি এমন যে, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে। ঢাকায় শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়। তা অস্থায়ীভাবে দমকা হিসেবে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল।  

সংস্থাটি আরও জানায়, এই মেঘ ক্রমান্বয়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিকে চলে যেতে পারে। তেমনটি হলে শনিবার চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই মেঘ-মেদুর পরিস্থিতি কালই (শনিবার) শেষ হয়ে যেতে পারে। তবে কয়েকদিন কুয়াশার প্রকোপ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে খুলনায় ৪৫ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১১ মিলিমিটার। এ সময়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ রাঙ্গামাটিতে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

news24bd.tv/আলী