৯৯৯-এ ফোন দিয়ে শিক্ষককে ধরিয়ে দিলো অভিভাবকেরা
৯৯৯-এ ফোন দিয়ে শিক্ষককে ধরিয়ে দিলো অভিভাবকেরা

৯৯৯-এ ফোন দিয়ে শিক্ষককে ধরিয়ে দিলো অভিভাবকেরা

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর মৌচাকে একটি আবাসিক কোচিং সেন্টারে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কাজী জামিল উদ্দীনকে (৪৩) আটক করেছে পুলিশ।

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার আজ বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল বিকেলে একজন কলার ঢাকার মৌচাক মার্কেট এলাকা থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন।

তিনি ফোনে জানান, তার ১১ বছর বয়সী মেয়ে মৌচাক মার্কেটের কাছে আবাসিক ক্যাডেট কেয়ার কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী। গত বছরের ডিসেম্বরে মেয়েকে তিনি সেখানে ভর্তি করান। কয়েকদিন আগে তার মেয়ে কোচিং সেন্টার থেকে বাসায় ফেরেন। তবে এরপর আর সে কোচিং সেন্টারে যেতে চায় না।
কোচিংয়ের কথা বললেই সে কান্নাকাটি করে। এরপর মেয়েটি তার মাকে যৌন হয়রানির কথা জানায়।

শিক্ষার্থীর মা অন্য কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তারাও কোচিং সেন্টারটির প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির কথা বলেন। আরও কয়েকজন ছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে তিনি জানতে পারেন।

এরপর শনিবার বিকেলে তিনি আরও কয়েকজন অভিভাবকসহ মৌচাক কোচিং সেন্টারে অবস্থান করে ৯৯৯-এ ফোন করে আইনি সহায়তা চান।

৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কলারের সঙ্গে রমনা থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। সংবাদ পেয়ে দ্রুত রমনা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।

রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কোচিং সেন্টারের প্রধান শিক্ষক কাজী জামিল উদ্দীনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

news24bd.tv/ নাজিম