ন্যাড়া ‘বেলতলায়’ একবারই যায়: আর্জেন্টিনা কোচ

মানুষ ‘বেলতলায়’ একবারই যায়: আর্জেন্টিনা কোচ

ন্যাড়া ‘বেলতলায়’ একবারই যায়: আর্জেন্টিনা কোচ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত। খাদের কিনারে চলে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।  এজন্য কী ঝড়টাই না গেছে কোচ হোর্হে সাম্পাওলির ওপর দিয়ে।

তুমুল বাক্যবাণে বিদ্ধ হতে হয়েছে ফরমেশন নিয়ে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বলে কথা শুনতে হয়েছে। ছাঁটাইয়ের হুমকিও পেতে হয়েছে! সোশ্যাল মিডিয়ায়, গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ হয়েছে। তবে এসব নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন আর্জেন্টাইন কোচ।
সকল সমালোচনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শিষ্যরা দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাওয়ায় এবার মুখ খুলেছেন সাম্পাওলি।

২৬ জুন দিবাগত রাতে নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মধ্যে ভয় ছিল ম্যাচটি নিয়ে। কারণ, এই নাইজেরিয়াই আইসল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে, আর আইসল্যান্ডের সঙ্গে আর্জেন্টিনা করেছিল ড্র। তবে ম্যারাডোনার দেশের দলটি যে গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ার মতো নয় তা তারা প্রমাণ করে দিয়েছে। গত রাতে মাঠে দেখা গেছে অন্য এক মেসিকে, অন্য এক আর্জেন্টিনাকে। খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে একঝাক তারকা খেলোয়াড় নিয়েও যে আর্জেন্টিনা খাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল, শেষ ম্যাচে সবই বদলে গেছে। দেখা গেছে সেই পুরনো আর্জেন্টিনাকে। পুরো ম্যাচের অধিকাংশ সময়ই বল নিজেদের পায়ে রেখেছিল সাদা-আকাশিরা। অবশেষে ২-১ গোলে জয়। নাইজেরিয়া পেনাল্টি না পেলে ম্যাচের রেজাল্ট হতো হয়তো ২-০।

অবশ্য একই সময়ে চলা ক্রোয়েশিয়া-আইসল্যান্ড ম্যাচটির দিকেও তাকিয়ে থাকতে হয়েছে আর্জেন্টাইনদের। কারণ আইসল্যান্ড জিতলে তখন খাতা-কলম নিয়ে গোলের হিসাব করতে বসতে হতো। তবে সেটা হয়নি। আইসল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ পর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ক্রোয়েশিয়া। ফলে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে কোন হিসাব-নিকাশ করতে হয়নি।

দলের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হবার পর এবার সব বিষয়ে কথার ঝাঁপি খুলে দিয়েছেন সাম্পাওলি। তিনি বলেন, ম্যাচে হারলে আপনি সমালোচনার শিকার হবেন-এটাই স্বাভাবিক। ভার্চ্যুয়াল জগতে যা দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে আমি বড় অপরাধী। তবে কোনো খবরই সত্য ছিল না। নিজেদের কাটতি বাড়াতে এতসব করেছে সবাই। আমি তাতে মোটেও আক্রান্ত নই। কিন্তু খেলোয়াড়দের ওপর এর প্রভাব পড়েছিল।

বাঁচা-মরার ম্যাচে ৪-৪-২ ফরমেশনে দল খেলিয়েছেন সাম্পাওলি। আইসল্যান্ড কিংবা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেরকমটি দেখা যায়নি। সেই দুই ম্যাচে ছক ভুল ছিল বলে স্বীকারও করেছেন আর্জেন্টাইন কোচ। তিনি বলেছেন, ন্যাড়া ‘বেলতলায়’ একবারই যায়। আমি আর সেখানে যেতে চাইনি। আমি বুঝতে পারছি, আগের ফরমেশনে সাবলীল ছিল না মেসি। অন্য খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও সেটি ঘটতে পারে।

যা হোক, এখন আর অতীত নিয়ে ভাবতে চান না চিলি ও সেভিয়ার সাবেক কোচ, যেতে চান অনেক দূর। বললেন, আমরা নিজেদের স্বপ্ন পূরণে বদ্ধপরিকর। সামনের প্রতিটি ম্যাচই বাঁচা-মরা। আমার বিশ্বাস, ছেলেরা রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে চেষ্টা করবে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর