এবার নিজ জমিতে রোপণ করা গাছ কাটতেও সরকারের অনুমোদন লাগবে। এমন কথাই বলা হয়েছে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইনের খসড়ায়। আইনের এই খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন এই আইন করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মানুষ যারা সাধারণ বাগান করবে বা স্থায়ী যে গাছ লাগাবে, সেগুলোও তারা তাদের ইচ্ছামত কাটতে পারবে না।
তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এরকম নিয়ম আছে।
তিনি আরও বলেন, আমি যতটুকু জানি, আগেও এরকম একটি নিয়ম ছিল। এটাকেই একটু সহজ করে কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দিতে বলা হয়েছে। কারণ একটা মানুষ বিপদে পড়ল। তার গাছ ভেঙে গেলে, এটা যদি সাত দিন পরে থাকে তবে সময় লাগে অনুমতি নিতে, সেটা হলে তো মুশকিল। তাই এটাকে একটু সহজ করতে বলা হয়েছে, এটা অনলাইনে করা যায় কিনা। বিষয়টি আমরা ভেবে দেখছি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বনশিল্প উন্নয়ন আইনে একটি করপোরেশন থাকবে। সেখানে একজন চেয়ারম্যান এবং পরিচালকের সমন্বয় বোর্ড গঠন হবে। বোর্ড সব ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে। চেরাই কাঠ, আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক খুঁটি, রেলের স্লিপার নির্মাণসামগ্রী, রাবার বাগান থেকে যাতে আরও রাবার আহরণ করা যায়। মোট কথা বনজ সম্পদের ব্যবহার আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব করতে হবে। মৌলভীবাজার জেলার জুরি উপজেলায় আগর গাছ আইনের আওতায় থাকবে। শুধু তাই নয়, ব্যক্তি মালিকানা গাছও অনুমোদন ছাড়া কাটা যাবে না। তবে মানুষ যাতে সহজে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে গাছ কাটার জন্য অনলাইনে অনুমোদন নিতে পারে সে বিষয়ে বলা হয়েছে।
সচিব বলেন, বনশিল্প আইন শুধু বনের নিরাপত্তাই নয় সব ধরনের গাছ ও বনের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই আইন করা হচ্ছে। সরকারি স্থাপনা বা রাস্তাঘাট তৈরির জন্য যেকোনো ক্ষেত্রে গাছ কাটতে হলে অনুমোদন লাগবে। বন শিল্প সংরক্ষণ করা এ আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
news24bd.tv/আলী