ড. রুবানা হক এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন

ড. রুবানা হক এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) উপাচার্য নিযুক্ত হলেন ড. রুবানা হক। তিনি প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক নির্মলা রাও-এর স্থলাভিষিক্ত হলেন, যিনি পাঁচ বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসর গ্রহণ করেন।

নাগরিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রুবানা হক ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের সহধর্মিণী। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ট্রাস্টি ছিলেন এবং সম্প্রতি ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

 

মঙ্গলবার নিউজ টুয়েন্টি ফোরকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ভিসি হিসেবে আজ থেকেই ড. রুবানা হকের সময়কাল শুরু হলো। তবে তিনি এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

 
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, একজন অনুকরণীয় নেতা এবং প্রশাসক খুঁজে পেলো এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।

ড. রুবানা হক তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ে অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে আমাদের।

আমি দৃঢ়প্রত্যয়ী যে, সবার আন্তরিক ও প্রাণান্তকর চেষ্টায় সাফল্যের প্রতীক হিসাবে আবির্ভূত হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।

ড. রুবানা হক সম্পর্কে :
রুবানা হক দেশের স্বনামখ্যাত নারী উদ্যোক্তা। তিনি মোহাম্মদী গ্রুপের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক।  রুবানা হক ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচিত প্রথম নারী সভাপতি। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পরপর দুবার ‘বিবিসি ১০০ নারী’ নিবন্ধে তাঁর নাম স্থান এসেছিলো। তিনি বর্তমানে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্ন স্কুল অফ বিজনেস এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া সেন্টারের একজন ভিজিটিং ফেলো।

কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন রুবানা হক। তিনি একজন কবি ও লেখকও। ‘টাইম অফ মাই লাইফ’ তাঁর লেখা কবিতার বই। ২০০৬ সালে কবিতা লেখার জন্য তিনি ‘সার্ক সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন। তিনি নাগরিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন সম্পর্কে : 
২০০৮ সালে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ)। শিল্প ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে নারী শিক্ষা এবং নেতৃত্বের উন্নয়ন তাদের লক্ষ্য। বর্তমানে বাংলাদেশসহ আফগানিস্তান, ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, ভিয়েতনাম, ইয়েমেনসহ ১৭টি দেশের এক হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছে। এখানকার ৮৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন সম্পর্কে আরও জানা যাবে এই সাইটে।

news24bd.tv/এআর-কাবুল