ব্যয়ের বাড়তি চাপে নাকাল মানুষ

বাবু কামরুজ্জামান

নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের পরিবার। সবাই পোড় খাচ্ছেন নিত্যপণ্যের বাজারের আগুনে। এরই মধ্যে গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায় বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। অজুহাত কমাতে হবে ভর্তুকি।

 

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে, এই সময়ে মানুষের পাশে থাকতে হবে সরকারকে।  

অপেক্ষার এই সারি দীর্ঘ হচ্ছে প্রতিদিনই। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম থাকায় ভোগ্যপণ্য পেতে নাকাল  হতে হচ্ছে নিম্ম আয়ের মানুষদের।

টিসিবি’র ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে চাল, ডাল ও তেল কিনতে ভীড় বাড়ছে নানা শ্রেণীপেশার মানুষের।

সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবে, ২ বছরে শুধু চালের পেছনে খরচ বেড়েছে  ১৫.৩৮ % শতাংশ। লিটারপ্রতি বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৬৮ %। ৩৬.৩৬ % শতাংশ খরচ বেড়েছে গরীবের আমিষ ব্রয়লার মুরগীর পেছনে।  বিপরীতে সরকারি হিসাবে এই করোনাকালেও বেড়েছে মাথাপিছু আয়। সর্বমোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধিও বিস্ময়কর। জনজীবনে এর প্রভাব কতোটুকু?

অন্যদিকে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের মতো প্রয়োজনীয় সেবায় ভর্তুকি কমাতে চাইছে বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এরইমধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ১০০ শতাংশেরও বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে বিদ্যুতেও। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী ওয়াসাও বাড়াতে চায় পানির দাম।

এই অর্থবছরে জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতে ভর্তুকি বাবদ ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও প্রয়োজন ৩৫ হাজার কোটি। করোনায় যখন সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে, তখন কেন ভর্তুকি কমাতে চাইছে সরকার? 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস এর হিসাবে বছর শেষে ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি বা জীবনযাত্রার খরচ ছাড়িয়েছে ৬ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের ১শ টাকার পণ্য কিনতে এখন ভোক্তাকে গুণতে হচ্ছে ১০৬ টাকা।
news24bd.tv/আলী