যতই উত্তেজনা নিরসনের বার্তা আসুক, বুধবার ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক আগ্রাসন চালাতে পারে-এমন আশংকা একেবারে উড়িয়ে দেয়নি কিয়েভ।
তাইতো যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবারের দিনটিকে আগে থেকেই ঘোষণা করেছিলেন জাতীয় ঐক্যের দিবস বা ইউনিটি ডে হিসেবে।
বুধবার দেশটির নাগরিকরা ইউক্রেনের পতাকা উড়ানো এবং দেশটির জাতীয় রঙ- নীল ও হলুদ ব্যাজ পরে ঐক্য প্রকাশ করে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী-ইউক্রেনের সক্রিয় সেনা রয়েছে ২ লাখ অন্যদিকে রাশিয়ার ৮ লাখ ৫৫ হাজার। ইউক্রেনের রিজার্ভ সেনা ২লাখ ৫০ হাজার এবং রাশিয়ার সমান সংখ্যক রিজার্ভ সেনা রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার।
এখন পর্যন্ত ইউক্রেন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে ৫টি। অন্যদিকে রাশিয়া বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে ১৩২ টি । ইউক্রেনের হেলিকপ্টার রয়েছে ১১২টি। অন্যদিকে রাশিয়ার ১৫৪৩টি হেলিকপ্টার রয়েছে। ইউক্রেনের আক্রমণ সক্ষম হেলিকপ্টার রয়েছে ৩৪টি অন্যদিকে রাশিয়ার ৫৪৪টি আক্রমণ সক্ষম হেলিকপ্টার রয়েছে। ইউক্রেনের সাঁজোয়া যান রয়েছে ১২৩০৩টি অন্যদিকে রাশিয়ার ৩০১২২টি সাঁজোয়া যান রয়েছে। ইউক্রেনের সয়ংক্রিয় গোলা রয়েছে ১০৬৭টি অন্যদিকে রাশিয়ার ৬৫৭৪টি সয়ংক্রিয় গোলা রয়েছে। ইউক্রেনের ভ্রাম্যমান রকেট প্রজেক্টর রয়েছে ৪৯০টি অন্যদিকে রাশিয়ার ৩,৩৯১ টি ভ্রাম্যমান রকেট প্রজেক্টর রয়েছে। ইউক্রেনের এয়ারক্রাফট কেরিয়ার নেই অন্যদিকে রাশিয়ার ১ টি এয়ারক্রাফট কেরিয়ার রয়েছে। ইউক্রেনের সাবমেরিন নেই অন্যদিকে রাশিয়ার ৭০ টি সাবমেরিন রয়েছে। ইউক্রেনের রণতরী ১টি অন্যদিকে রাশিয়ার ১১ টি রণতরী রয়েছে। এর সাথে রাশিয়া প্রায় ৭ হাজার পারমানবিক ওয়ার হেডের মালিক।
news24bd.tv/আলী